PCOD

পিসিওডির সমস্যা রয়েছে সারা-সোনমের, সুস্থ থাকতে কী খাবেন, এড়িয়ে চলবেন কোনগুলি?

তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, মহিলাদের মধ্যে ক্রমশ হানা দিচ্ছে পিসিওডি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে কতটা বদল আনলে সুস্থ থাকা সম্ভব?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ১২:১৯
Share:

(বাঁ দিকে ) সারা আলি খান এবং (ডান দিক) সোনম কপূর। ছবি: সংগৃহীত।

বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খানের ছিপছিপে চেহারা অনেকেরই অনুপ্রেরণা। অনেকেই তার মতো চেহারা পেতে চান। অথচ কিছু বছর আগেও অভিনেত্রীর ওজন ছিল ৯৬ কেজি। বড় পর্দায় অভিষেকের আগে বহু পরিশ্রম করে ওজন কমিয়েছিলেন নায়িকা। সারার এই প্রবল ওজনবৃদ্ধির নেপথ্যে ছিল ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ কিংবা পিসিওডি। পরে জানা যায়, বলিপাড়ার আরও এক অভিনেত্রী সোনম কপূরও এই রোগের শিকার। তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, মহিলাদের মধ্যে ক্রমশ হানা দিচ্ছে পিসিওডি। সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতি পাঁচ জনে এক জন ভারতীয় মহিলার এই অসুখ রয়েছে।

Advertisement

পিসিওডি থাকলে দৈনন্দিন জীবনযাপনে বড়সড় বদল আনা জরুরি। নিজেকে নিয়মে না বাঁধলে পিসিওডি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি। খাদ্যাভ্যাসে কতটা বদল আনলে সুস্থ থাকা সম্ভব?

পিসিওডির সমস্যায় কোন খাবারগুলি বেশি খাবেন?

Advertisement

১) পিসিওডি থাকলে প্রোটিন খাওয়ার উপর জোর দিতে হবে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে পিসিওডির সমস্যা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করতে পারে। তাই সেই ঝুঁকি কমাতে বেশি করে প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। পিসিওডির রোগীরা নিয়ম করে ডাল, ডিম, সয়াবিন, মাংস, মাছ খেতে পারলে ভাল।

২) পিসিওডির ক্ষেত্রে গ্লুটেনমুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে মিলেট হল আদর্শ। মিলেটে গ্লুটেন একেবারেই নেই। ফলে পিসিওডির রোগীরা রোজের ডায়েটে তা রাখতে পারেন। মিলেট ছাড়া সাবুদানাও গ্লুটেনমুক্ত।

৩) হলুদে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। পিসিওডির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলুদ খুবই উপকারী। নিয়ম করে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন সুফল পাবেন।

কোন খাবারগুলি খাবেন না?

) যে খাবারে ফ্যাট বেশি, তা ভুলেও খাবেন না। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ যদি শরীরে বাড়তে থাকে, তা হলে পিসিওডির রোগীদের জন্য তা বিপজ্জনক। মাখন, চকোলেটে ফ্যাট অনেক বেশি। তাই এ ধরনের খাবার যত কম খাবেন, সুস্থ থাকতে পারবেন।

২) রেড মিট খেতে ভাল লাগলেও শরীরের কথা ভেবে দূরে থাকুন। রেড মিট একেবারেই সহজপাচ্য নয়। পিসিওডি থাকলে হজমের গোলমাল আরও বেড়ে যায়। তাই এমন কোনও খাবার খাওয়া উচিত, যা সহজে হজম করা যায়।

৩) নুন খাওয়ায় রাশ টানুন। পিসিওডির রোগীদের জন্য নুন অত্যন্ত ক্ষতিকর। কাঁচা নুন এড়িয়ে চলবেন তো বটেই, যতটা কম নুন ব্যবহার করে রান্না করা যায়, সে দিকেও নজর দিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement