বিপরীত নমস্কার দণ্ডাসন কী ভাবে করবেন? চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
ওজন কমাতে কত কসরতই না করছেন! পেট, কোমর ও নিতম্বের মেদ ঝরানো সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে তলপেটের মেদ নাছোড়বান্দা। একবার বাড়তে শুরু করলে তা ঝরানো যথেষ্টই ঝক্কির কাজ। ওজন কমাতে নানা রকম কার্ডিয়ো করতে গিয়ে পেশির ব্যথা আরও বাড়ে অনেকেরই। ঠিকমতো ব্যায়াম করতে না পারলে মেদ সহজে কমবে না। পাশাপাশি পেশিতে টান ধরা, যন্ত্রণা আরও বাড়বে। তাই যোগাসন সে দিক থেকে কার্যকরী হতে পারে। বিপরীত নমস্কার দণ্ডাসন এমন একটি আসনের পদ্ধতি, যাতে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। শরীরে রক্ত সঞ্চালনও বাড়ে।
কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে বজ্রাসনের ভঙ্গিতে ম্যাটের উপর বসুন।
২) ওই অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। গোড়ালিতে শরীরের ভর দিয়ে চিত হয়ে শুতে হবে।
৩) দুই হাত থাকবে দেহের দু’পাশে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
৪) এ বার হাত দুটি মাথার উপরে নিয়ে যান। হাতের তালু মাটি স্পর্শ করবে।
৫) পা দু’টি জোড়া করে রাখুন।
৬) এর পর ধীরে ধীরে ঘাড় ও কোমর উপরে তুলুন। শরীরের ভঙ্গিমা হবে ঠিক উল্টানো ‘ভি’ আকৃতির।
৭) এই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ড থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
কেন করবেন?
পা, নিতম্বের পেশি মজবুত রাখার পাশাপাশি হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এই আসন। হ্যামস্ট্রিং, গোড়ালি, হাঁটুতে টান পড়লেও আরাম লাগে। পায়ের পাতার ব্যথা নিরাময় করে। তলপেটের পেশিও মজবুত হয়। একাগ্রতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে এই আসন। পিঠ, কোমরের ব্যথা প্রশমনেও সাহায্য করে দণ্ডাসন।
কারা করবেন না?
হাঁটুতে ব্যথা থাকলে এই আসন করবেন না।
গোড়ালিতে চোট-আঘাত লেগে থাকলে এই আসন করা যাবে না।
মেরুদণ্ডে আঘাত থাকলে এই আসন করা যাবে না।