কোমর-পায়ের ব্যথা সেরে যাবে একটি আসন অভ্যাসে। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
একটানা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থেকে কোমরে ব্যথা হচ্ছে। অনেক সময় বিছানায় শোয়ার দোষেও পিঠ-কোমরে ব্যথা হতে পারে। সারা রাত ঘুমোনোর পরেও সেই ব্যথা কমে না। দীর্ঘ সময়ে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে বসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের এমন ব্যথা হয়েই থাকে। ব্যথার ওষুধে বা গরম জলের সেঁক দিয়ে ব্যথা না কমলে শেষমেশ ইঞ্জেকশন পর্যন্ত দৌড়তে হয়। যে সব স্নায়ু থেকে ব্যথার সঞ্চার হচ্ছে, সেগুলিকে সক্রিয় করে তুলতে শুধু ওষুধে কাজ হবে না। সেই সঙ্গে করতে হবে যোগব্যায়ামও। ঘন ঘন ওষুধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে যদি বাঁচতে চান, তা হলে একটি বিশেষ আসন অভ্যাস করতে পারেন।
কোমরে ব্যথার একাধিক কারণ থাকতে পারে। উঁচু থেকে পড়ে যাওয়া, পেশির ব্যথা, মেরুদণ্ডের ডিস্কে চোট কিংবা সায়াটিকা বা অস্টিয়োপোরোসিসের কারণে ব্যথা হলে রোজ অভ্যাস করুন ‘বিগ টো পোজ়’।
কী ভাবে করবেন?
১) প্রথমে ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। হাত থাকবে দু’পাশে।
২) এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে শরীর ঝোঁকান। নীচু হয়ে দুই পাতের তালু মাটিতে রাখার চেষ্টা করুন।
৩) বুক থাকবে হাঁটুর কাছাকাছি। মাথা মাটির দিকে ঝোলানো অবস্থায় থাকবে।
৩) এর পর দু’হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। হাঁটু ভাঙা চলবে না। প্রথম প্রথম সমস্যা হবে, পরে অভ্যাস হয়ে যাবে।
৪) এই অবস্থানে থাকুন ২০ সেকেন্ড। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। তার পর আবার ধীরে ধীরে আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
উপকারিতা:
সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।
আর্থাইট্রিসের সমস্যা থাকলে এই আসন অভ্যাস করতে পারেন।
গোড়ালিতে ব্যথা, কাফ মাসলে যন্ত্রণা হলে এই আসন অভ্যাসে ব্যথা কমবে।
হাত, পা ও কোমরের পেশির জোর বাড়বে।
নিয়মিত অভ্যাসে পেটের মেদও কমবে।
কারা করবেন না?
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে আসনটি করবেন না।
ভার্টিগোর সমস্যা থাকলেও আসনটি করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি করা উচিত হবে না।