Heat

Heatwave protection: সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৪০ ডিগ্রি! হিট স্ট্রোক এড়াতে কী ভাবে সাবধান হবেন

জলটান, ডিহাইড্রেশন, এবং পেশিতে টান ধরা (হিট ক্র্যাম্প), একটুতেই হাঁপিয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত ক্লান্তি হতে পারে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২২ ১২:৩৩
Share:

বাইরে বেরোলে তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থবোধ করতে পারেন অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত

অসহ্য গরম থেকে এখনই নিস্তার নেই। আবহাওয়া দফতর বলছে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়ে যাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলবে অসহ্য তাপপ্রবাহ। বৃষ্টির দেখা কবে মিলবে, এখনই বলা মুশকিল। এমন অবস্থায় কোথাও বেরোনো তো দূর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর ছাড়া বাড়ির ভিতরেও টেকা দায় হয়ে উঠেছে। এতটা অসহনীয় গরমে শরীর খারাপ হতেই পারে। বাইরে বেরোলে তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থবোধ করতে পারেন অনেকেই। হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কী ভাবে, তা জেনে রাখা প্রয়োজন।

Advertisement

জলটান, ডিহাইড্রেশন, রোদ থেকে শরীর শুকিয়ে যাওয়া এবং পেশিতে টান ধরা (হিট ক্র্যাম্প), একটুতেই হাঁপিয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত ক্লান্তি (হিট ফ্যাটিগ) এবং হিট স্ট্রোক হতে পারে খুব বেশি তাপপ্রবাহে। কোন উপসর্গগুলি দেখলে সাবধান হবে?

১। রোদে শরীর শুকিয়ে গেলে বা হিট ক্র্যাম্প হলে জ্ঞান হারাতে পারেন। পাশাপাশি ১০২ ডিগ্রির কাছাকাছি জ্বর আসতে পারে। শরীরে নানা জায়গা ফুলে যেতে পারে।

Advertisement

২। বারবার হাঁপিয়ে যাওয়া, খুব বেশি ঘাম হওয়া, বমি হওয়া বা বারবার বমি হওয়ার প্রবণতা তৈরি হওয়া বা মাথা ধরা রোদ থেকে অতিরিক্ত ক্লান্তি বা হিট ফ্যাটিগের লক্ষণ।

৩। হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে যেতে পারে। জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া এর অন্যতম লক্ষণ। পরিস্থিতির অবনতি হলে রোগী কোমাতেও চলে যেতে পারেন বা মৃত্যুও হতে পারে।

আবহাওয়া দফতর বলছে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়ে যাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ছবি: সংগৃহীত

কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবেন নিজেকে?

১। পারলে দুপুর ১২টা থেকে ৩টের মধ্যে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। ঘরের ভিতরেই থেকে কাজ করুন। এই সময়ে রোদের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে।

২। সারা দিন ধরে ঘন ঘন জল খান। শরীর শুকিয়ে যেতে দেবেন না।

৩। হালকা সুতির পোশাক পরুন যাতে ঘাম হলে তাড়াতা়ড়ি শুকিয়ে যায়। ঢাকা জুতোর বদলে খোলা চপ্পল পরুন।

৪। বাইরে বেরোলে রোদচশমা, ছাতা অবশ্যই সঙ্গে নেবেন। সূর্যের আলো সরাসরি গায়ে লাগতে দেবেন না। গা ঢাকা পোশাক পরবেন।

৫। সর্বাধিক তাপমাত্রার সময়ে শরীরচর্চা বা অতিরিক্ত ক্লান্তিকর কোনও রকম কাজ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। পরিশ্রমের কাজ দুপুর ১২টার আগে সেরে ফেলুন।

৬। অনেকেই বেজায় গরমে প্রচুর বিয়ার, সোডা বা নরম পানীয় খেয়ে ফেলেন। এতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বে়ড়ে যায়। চা বা কফিও খুব বেশি খাবেন না।

এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কী ভাবে, তা জেনে রাখা প্রয়োজন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

৭। তার বদলে ওআরএস, লেবুর জল, ঘোল বা লস্যি সারা দিনে খান। ছাতু বা বেলের শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।

৮। খেয়াল রাখবেন যাতে সারা দিনের খাবারে বেশি প্রোটিন থাকে। বাসি খাবার খাবেন না

৯। শিশু বা পোষ্যদের বন্ধ গা়ড়িতে রেখে কোথাও যাবেন না। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়বে তারা। খুব বেশি ক্ষণ বন্ধ গাড়িতে থাকলে গরমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।

১০। অসুস্থ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

১১। ঠান্ডা জলে স্নান করতে পারেন দিনে ২ থেকে ৩ বার।

১২। ঘর ঠান্ডা রাখুন। যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র বাড়িতে না থাকে, ভারী পরদা দিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখুন। ফ্যানের তলায় ঠান্ডা জলের বাটিতে কয়েক টুকরো বরফ রেখে দিতে পারেন।

নবান্ন থেকেও বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কর্মীদের একটানা রোদে কাজ না করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বাদের, বিশেষ করে যাঁদের কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সাবধানে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন