দু’ সপ্তাহ চিনি না খেলেই শরীরে আসবে বিরাট বদল। ছবি: সংগৃহীত।
মিষ্টি খেতে ভালবাসেন না এমন লোক কমই আছেন। খাওয়ার পর রসগোল্লা না হয় পান্তুয়া, কিংবা কেক-পেস্ট্রি— একটা মিষ্টি পদ তো চাই-ই চাই। অনেকেরই ধারণা রান্নায় একটু চিনি না পড়লে নাকি স্বাদ ঠিকঠাক হয় না। তাই বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে চিনি শরীরে প্রবেশ করে। অনেকেই আছেন, যাঁরা সচেতন ভাবে চিনি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ ওজন কমানোর ইচ্ছায়, কেউ আবার ডায়াবিটিসের ভয়ে চিনি খাওয়া বন্ধ করছেন। কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগব্যাধি। স্থূলতা, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হল চিনি খাওয়ার অভ্যাস। চিকিৎসক সৌরভ শেঠী জানিয়েছেন, একটু সতর্ক থেকে যদি দু’ সপ্তাহের জন্য ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোনও খাবার বাদ দেওয়া যায়, তা হলেই কিন্তু শরীরে একাধিক বদল লক্ষ করা যেতে পারে। জেনে নিন, দু’ সপ্তাহ চিনি না খেলে কী কী লাভ হবে শরীরের।
কী ভাবে মেদ ঝরাবেন, সেই চিন্তাই ঘুরছে মাথায়? দু’ সপ্তাহ চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে দেখুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি যায়। যা ওজন ও মেদ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই মেদ ঝরবে দ্রুত। শুধু তাই নয়, লিভারের চারপাশে জমতে থাকা ফ্যাটও ঝরতে শুরু করবে। চিকিৎসকের মতে, চোখের চারপাশের ফোলাভাব-ও কমবে দু’সপ্তাহ চিনি থেকে দূরে থাকলে। এ ছাড়া অনেকের মুখের চারপাশে জল জমেও ফোলাভাব তৈরি হয়। চিনি ছাড়লে শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বেরিয়ে যায়, তাই মুখের ফোলাভাবও কমে যায়। চিনি ছাড়লে পেটও পরিষ্কার থাকে। এ ছাড়া যাঁরা সারা বছর ব্রণর সমস্যায় ভোগেন, তাঁরাও কিন্তু উপকৃত হবেন চিনি ছাড়লে।
চিনি ছাড়লে আর কী কী লাভ হবে শরীরের?
২) মানসিক চাপ, ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। চিনি ডায়েট থেকে বাদ দিলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে।
৩) অনেক সময়ে কাজের প্রতি অনীহা আসে। শরীরে শক্তির অভাব হয়। এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন শরীরে স্ফূর্তি বাড়বে। কর্মক্ষমতাও বাড়বে।
৪) বেশি চিনি খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করুন। লিভারের রোগ ঠেকাতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
৫) বাতের ব্যথা থেকে রেহাই পেতেও চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে, তাই যাঁদের বাতের ব্যথা আছে তাঁরা এক মাস চিনি না খেলেই তফাত বুঝতে পারবেন।