পা ধোয়ার অভ্যাসে ছোট বদল। ছবি: সংগৃহীত।
কাজের জন্য দিনভর হাঁটাহাঁটি করে বা দাঁড়িয়ে থেকে বাড়ি ফেরার পর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে পায়ের দু’টি পাতা। বাইরের জামাকাপড় ছেড়ে হাত, পা, মুখ ধুয়ে, তার পর বিছানায় ওঠার অভ্যাস থাকে অনেকের। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার এই ভাল অভ্যাসে ছোট্ট এক সংযোজন ঘটাতে পারেন এই শীতে। ঠান্ডা জলের বদলে গরম জল দিয়ে পা ধুয়ে দেখুন। কলের তলায় রেখে বা মগ দিয়ে পা ধুয়ে ফেলার পর একটি ধাপ যোগ করুন। মিনিট পাঁচেকের জন্য গরম জল ভরা গামলায় দু’টি পা ডুবিয়ে রাখার অভ্যাস এক বার শুরু করলে আর ছা়ড়তে ইচ্ছে করবে না। কারণ সে মুহূর্তেই অর্ধেক ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখার উপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত।
একে ঠান্ডার মরসুম, তায় আবার ক্লান্ত দিন। সব মিলিয়ে বাড়ি ফিরে যদি কিছু ক্ষণের জন্য গরম জলে পা চুবিয়ে রাখেন, তার সুফল মিলবে তৎক্ষণাৎ। সময় থাকলে জলের মধ্যে এপসম সল্ট এবং এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিতে পারেন। জলের তাপমাত্রার দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। অতি গরম জলে পা জ্বলে যেতে পারে। আবার খুব হালকা গরম হলে এই পদ্ধতি কার্যকরীই হবে না।
গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখার উপকারিতা কী কী?
১. পায়ের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে গরম জল। যাঁরা অনেক ক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কাজ করেন বা যাঁদের দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকতে হয়, তাঁদের জন্য এই টোটকা খুবই কার্যকরী। সারা দিন ধরে পায়ে ঠিক ভাবে রক্তসঞ্চালন হয় না। তাই এই পদ্ধতিতে পা ডুবিয়ে রাখলে সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্য ভাল হয়।
২. গাঁটে ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে গরম জলের এই টোটকা। পায়ের পেশি শিথিল করে তাকে নমনীয় করতে সাহায্য করতে পারে।
৩. উত্তেজিত স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করার জন্য, কর্টিসল অর্থাৎ স্ট্রেস হরমোন কমানোর জন্য, মনকে শান্ত করার জন্য এই পদ্ধতিতে পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এসেনশিয়াল অয়েল এই কাজে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারে। এর ফলে রাতে ঘুমও ভাল হবে।
৪. জলের মধ্যে এপসম সল্ট মেশালে ত্বকে ম্যাগনেসিয়াম প্রবেশ করতে পারে। ফলে ত্বকের প্রদাহ নাশ করে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে পারে এই টোটকা।
৫. টি ট্রি অয়েলও মেশাতে পারেন ইষদুষ্ণ জলে। এর ফলে পায়ের জীবাণু বা ছত্রাক সংক্রমণের বাড়বৃদ্ধি রোধ করা যাবে। নখের সংক্রমণ কমানোর জন্য এ ভাবে গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখা উচিত।