১ মাসে ৫ কেজিরও বেশি ওজন ঝরাতে চাইছেন? ছবি: শাটারস্টক।
দুর্গাপুজো আসতে আর মাত্র মাস দুয়েক বাকি। বছরের আর পাঁচটা সময়ের থেকে এই সময় জিমগুলিতে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। অল্প সময়ে ওজন ঝরিয়ে ফেলার জন্য প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। আর যাঁরা জিমে যান না, তাঁরা বাড়িতেই শুরু করেছেন কড়া ডায়েট। পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়াই কড়া ডায়েট আর শরীরচর্চা করে হঠাৎ এ মাসের মধ্যেই হয়তো অনেকটা ওজন এক বারে কমে গেল। আপনার মনে হতে পারে যে বেশ ভালই হল। কিন্তু এমন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ওজন ঝরলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও। একবারে অনেকটা ওজন ঝরালে বহু ক্ষেত্রেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। হঠাৎ এই ওজনের ঘাটতি নানা ধরনের অসুস্থতার কারণও হয়।
চটজলদি অনেকটা ওজন কমিয়ে ফেললে কোন ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়?
১) দ্রুত ওজন কমে গেলে অনেক সময়ে ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ ওঠা-নামা করতে পারে। তা থেকে লিভারে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২) পুষ্টির অভাবও ঘটে। কারণ ওজন ঝরানোর সময়ে অনেকেই খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আনেন। এর জেরে শরীরের ক্যালোরির মাত্রা হঠাৎ অনেকটা কমে যেতে পারে। যার কারণে অপুষ্টিতে ভুগতে পারেন। শরীরের উপর এই পরিবর্তনের ছাপ পড়তে পারে নানা ভাবে।
৩) লো-ক্যালোরি ডায়েট দীর্ঘ দিন মেনে চলার পর আপনার ওজন যদি ঝরতে শুরু করে তা হলে কিন্তু মেদ কমানোর সময়ে বহু ক্ষেত্রেই প্রভাব পড়ে পেশির উপর। ক্যালোরির পরিমাণ খুব কমে গেলে পেশির শক্তি কমতে পারে। যার ফলে পেশির ক্ষয়ও হয় অনেক সময়ে।
পুজোর আগে অল্প সময়ে ওজন ঝরিয়ে ফেলার জন্য প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। ছবি: শাটারস্টক।
৪) লো-ক্যালোরি ডায়েট মেনে চললে তার প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপরেও। বিপাকহার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যার প্রভাব পড়ে অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কাজের উপরেও।
৫) অল্প সময় অনেকটা ওজন কমিয়ে ফেলার পর পিত্তথলি বা গলব্লাডারে পাথর জমার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। ডায়েটের ফলে অনেক সময় শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। ডিহাইড্রেশনের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজমের মতো সমস্যা শুরু হয়।