শাহিদ-পত্নী মীরা কপূরের নতুন থেরাপি। ছবি: সংগৃহীত।
এমন স্নান জীবনে প্রথম বার। শরীর ও মনে এক অদ্ভুত আরাম। এমন ঘুমও নাকি তাঁর প্রথম বার এল। শাহিদ কপূরের স্ত্রী মীরা কপূর নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে বেশ নিষ্ঠাবান। একই সঙ্গে তাঁর অনুরাগীদেরও সে সব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অবগত করে তোলেন। মীরা আর কেবল তারকা-পত্নী নন, তিনি এখন স্বাস্থ্যবিষয়ক নেটপ্রভাবী হয়ে উঠেছেন। তাঁর সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা জনসাধারণের কাছে একেবারে নতুন। আর তাই সকলকে এই অচেনা থেরাপির সম্পর্কে জানাতে চাইলেন দুই সন্তানের মা।
নতুন এক ধরনের স্নানের অভিজ্ঞতা হয়েছে মীরার। ম্যাগনেশিয়াম লবণে পরিপুষ্ট উষ্ণ জলে গা ডুবিয়ে তিনি নতুন শক্তি পেয়েছেন শরীরে। এই প্রক্রিয়ার নাম, ‘ম্যাগনেশিয়াম পুল থ্যালাসোথেরাপি’। মীরার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি থেকে জানা যায়, ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার জলে টানা ১৫ মিনিট গা ভিজিয়েছেন তিনি। মীরার লেখায়, ‘ম্যাগনেশিয়াম লবণ মেশানো উচ্চ-লবণাক্ত পুল। এত পরিমাণ লবণ যে, যত বারই পা ডোবাতে যাচ্ছি, তত বারই যেন ভাসিয়ে দিচ্ছে আমায়। ম্যাগনেশিয়াম ত্বকের মাধ্যমে সবচেয়ে ভাল ভাবে শোষিত হয়। তাই এই স্নানের পর আমি যে ভাবে ঘুমিয়েছি, তা অবিশ্বাস্য। আমার স্বপ্ন ছিল যে, কোনও দিন এমন ঘুম আসবে।’
ম্যাগনেশিয়াম পুল থ্যালাসোথেরাপি ছবি: সংগৃহীত।
মীরার বিশ্বাস, ‘ম্যাগনশিয়াম বাথ’ এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। তিনি সব সময় সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ুর জন্য নানাবিধ থেরাপির সন্ধানে থাকেন। আর এই পদ্ধতি আবিষ্কারের পর মীরা লিখছেন, ‘পেশি মজবুত করা, ভাল ঘুম আনা এবং নানাবিধ পুষ্টির ঘাটতির কারণে পেশির টান কমানোর জন্য ম্যাগনেশিয়াম খুব উপকারী। আর ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি মেটানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল ত্বকের মাধ্যমে শোষণ করানো। ম্যাগনেশিয়ামে জাদু আছে।’ মীরার কথায় জানা গেল, ডিপ টিস্যু মাসাজের পর ‘ম্যাগনেশিয়াম বাথ’ নিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে মীরা এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন বলে জানালেন।
‘ম্যাগনেশিয়াম পুল থ্যালাসোথেরাপি’ আসলে কী?
এটি এমন এক চিকিৎসাপদ্ধতি, যেখানে উষ্ণ জলে ম্যাগনেশিয়াম- সমৃদ্ধ খনিজ পদার্থ ডুবিয়ে রাখা হয়। সাধারণত সমুদ্রের জল বা খনিজ লবণ থেকে পাওয়া যায় এগুলি। অন্যান্য পুলের মতো নয়। এখানে ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইড মিশিয়ে রাখা হয়। ফলে মন ও শরীরকে শান্ত করে, প্রদাহ নাশ করতে পারে। বিশেষ করে ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হলে, ম্যাগনেশিয়াম পেশি শিথিল করা, গাঁটের ব্যথা মোকাবিলা করা, ঘুমের মান উন্নত করা এবং মানসিক চাপ কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে। তা ছাড়া ত্বকের জলশূন্যতা মেটায়। এগ্জ়িমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগের জন্যও উপকারী। জলের তাপমাত্রা যখন ৩৭ ডিগ্রি বা শরীরের তাপমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছোয়, তখন ত্বকের ছিদ্রগুলি খুলে যায়। আর ত্বকের মাধ্যমে ম্যাগনেশিয়াম শোষিত হতে থাকে। ফলে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।