Benefits Of Evening walk

শরীর মন ভাল থাকবে ‘পাসেজ্জিয়াতা’-য়! কী সেটি? কোন কাজে লাগে?

ঘড়ি ধরে শরীরচর্চা, সকাল বা সান্ধ্য ভ্রমণ একঘেয়ে লাগে? ‘পাসেজ্জিয়াতা’-য় হতে পারে মুশকিন আসান। কী সেটি?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৯
Share:

‘পাসেজ্জিয়াতা’ কী? এতে কি শরীর ভাল থাকে?

শরীর-মন ভাল থাকে হাঁটাহাটিতে। কেউ হাঁটেন সকালে, কেউ আবার সন্ধ্যায়। কেউ বলেন, দ্রুত মেদ ঝরাতে জোরে হাঁটুন। কেউ বলেন, জোরে এবং আস্তে মিলিয়ে মিশিয়ে হাঁটলে ফল মিলবে বেশি।

Advertisement

‘পাসেজ্জিয়াতা’ কী?

ঘড়ি ধরে দিনের পর দিন হাঁটা কি একঘেয়ে মনে হয়? তা হলে বরং ইটালিবাসীর পন্থা অনুসরণ করে বেছে নিতে পারেন ‘পাসেজ্জিয়াতা’। যে নাম উচ্চারণ করতেই দাঁত ভেঙে যাওয়ার জোগাড় হচ্ছে, সেটি কী, কোন কাজে লাগে, ভাবছেন নিশ্চয়ই।

Advertisement

পাসেজ্জিয়াতা হল অলস ভাবে বিকেল উপভোগ করা। সান্ধ্যভ্রমণ। ইটালির দীর্ঘ দিনের রীতি। সান্ধ্যভ্রমণ এ দেশেও নতুন কিছু নয়। ফলে মনে হতেই পারে, এর বিশেষত্ব কোথায়?

বিকেল হলেই রাস্তা ধরে হাঁটতে বেরিয়ে পড়া, পাড়ার লোকজনের সঙ্গ গল্পগুজব, খানিক হাঁটা, খানিক আড্ডা— এমনই এক অভ্যাসের নাম পাসেজ্জিয়াতা। ইটালির এই চল যে এ দেশে নেই বা ছিল না, তা কিন্তু নয়। বরং বছর দশেক আগেও বিকেল হলে পাড়ার রাস্তায় হাঁটা, সকলে মিলে গল্পগুজব করার চল ছিল। বর্তমান ব্যস্ত সময়ে সেই অভ্যাসে কিছুটা ভাটা পড়েছে এই যা। তবে এখনও কোথাও কোথাও বয়স্ক মানুষেরা এ ভাবে বিকেলে হাঁটাহাটি, গল্পগুজব করেন।

ঘড়ি ধরে হাঁটা যদি ভাল না লাগে, তবে পুরনো পন্থাতেও ফিরে যেতে পারেন। পাসেজ্জিয়াতা বা অলস ভাবে বিকেল উপভোগ কর বা হাঁটার বিভিন্ন উপকারিতাও রয়েছে। দুপুরের খাওয়ার পর ভাতঘুম দিলেই হজমে অসুবিধা হতে পারে। মেদ জমার মতো অনেক সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে বিকেলে হাঁটা, গল্পের এই চল খাবার হজমে, মন ফুরফুরে রাখতেও সাহায্য করে। কর্মহীন বিকেল পাওয়াটা অনেকের জন্যই বেশ কঠিন। সে ক্ষেত্রে কাজ থেকে মিনিট দশেকের বিরতি নিয়ে অফিসের আশপাশে সহকর্মীদের সঙ্গেও হাঁটাহাটি করে নিতে পারেন।

উপকারিতা

১. অতীতে গবেষণায় দেখা গিয়েছে খাওয়ার পরে কিছু ক্ষণ হাঁটলেই শরীর ভাল থাকে। হজমে সুবিধা হয়। এ ক্ষেত্রে যতই ধীরেসুস্থে হাঁটা হোক না কেন, তা শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। শুধু ওজন কমাতে নয়, পেশি সবল রাখতে, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হাঁটার উপকারিতা রয়েছে।

২. বিকেলের দিকে হাঁটার চল খাবার হজমেও সাহায্য করে। দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া বা বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়ার অভ্যাসে পেটভার হয় অনেকেরই। সে ক্ষেত্রে বিকেলের হাঁটাহাটিতে পেট ভার হওয়া, হজমের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

৩.হাঁটার পাশাপাশি গল্পগুজব, একে অন্যের কুশল সংবাদ জানা সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। ঘরের কোণে বসে থাকার বদলে খোলা হাওয়ায় বেরিয়ে পরিচিত মানুষের সঙ্গে দুটো কথা বললে অনেক সময়েই মন ভাল থাকে।

৪. হাঁটলে এন্ডরফিন নামে হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। মেজাজ ভাল রাখতে এই হরমোন সাহায্য করে বলে একে ‘হ্যাপি হরমোন’ বলা হয়। ‘পাসেজ্জিয়াতা’র উপযোগ সে ক্ষেত্রেও বর্তমান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement