Winter Sleep

সারা রাত ঘুমিয়েও অফিসে কাজের ফাঁকে ঝিমুনি আসে? শীতকালে কেন হয় এমন?

শীতের ভাব পড়তেই বেশি ঘুম পাচ্ছে? শরীর ম্যাজম্যাজ করে? শীতকালীন এই সমস্যাগুলি ঠিক কী কী কারণে হয় জানেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৫৬
Share:

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীর এবং মনেও তার প্রভাব পড়ে। ছবি: সংগৃহীত

জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও বাতাসে বেশ একটা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। শীত আসতে এখনও কিছুটা সময় বাকি রয়েছে। তবু এখন থেকেই যেন একটা আলসেমি ঘিরে রেখেছে। এ সময় অল্প কাজ করেই বেশি ক্লান্ত লাগে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীর এবং মনেও তার প্রভাব পড়ে। তাড়াতাড়ি ঘুম পেয়ে যায়। আবার সকালে বিছানা ছাড়তেও ইচ্ছা করে না। সারা রাত ঘুমিয়েও অফিসে কাজের ফাঁকে ঢুলুনি আসে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শীতকালীন এই সমস্যাগুলি ঠিক কী কী কারণে হয় জানেন?

Advertisement

সূর্যের আলোর অভাব

শীতে দিন ছোট হয়ে যায়। ফলে সূর্যের আলো খুব কম সময় পর্যন্ত থাকে। সূর্যালোকের ঘাটতি মস্তিষ্ক থেকে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। এই হরমোনের কারণে ঘুম পায় বেশি। শীতে রাত বড়। ফলে বেশি ঘুমাতে চায় শরীর। শীতের সময় চনমনে থাকতে যতটা সম্ভব সূর্যের আলোর কাছাকাছি থাকুন। সকালে ঘরে রোদ ঢুকতে দিন।

Advertisement

সকালে বিছানা ছাড়তেও ইচ্ছা করে না। প্রতীকী ছবি।

ভিটামিন ডি-র অভাব

সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটাতে শরীরে রোদ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। শীতকালে রোদের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ বেশি ক্ষণ থাকে না। এই ভিটামিনের অভাবেই শীতকালে বেশি ক্লান্ত লাগে। এই জন্য পুষ্টিবিদরা শীতকালে ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে বলেন। তাতে শরীর ভিতর থেকে তরতাজা থাকে।

অত্যধিক পরিশ্রম

শীতকালে এমনিতেই শরীর ভিতর থেকে একটু দুর্বল হয়ে পড়ে। বেশি কায়িক পরিশ্রম করলে কিংবা একটানা কোনও কাজ করলে সহজেই হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকে। শারীরিক দুর্বলতার কারণে একটু বেশি ঘুম ঘুম পায়। ক্লান্ত লাগে। তাই শীতকালে খুব বেশি ভারী কাজ না করাই ভাল। যতটা সম্ভব হালকা কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। ভারী কোনও জিনিসপত্র বহন করা থেকেও বিরত থাকা জরুরি।

ঘুমের ঘাটতি

শীতের সকালে উঠতে ইচ্ছা না করলেও, কাজের প্রয়োজনে অনেককে উঠতেই হয়। জোর করে সমস্ত আলসেমি ঝেড়ে ফেলে ভিতর থেকে চাঙ্গা রাখতে হয় নিজেকে। পুরোটাই নিজের শরীরের বিরুদ্ধে গিয়ে করতে হয়। তাতেই ঘাটতি পড়ে ঘুমের। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে অনেক সময় ঝিমুনি আসে। সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হলে রাতে বেশি ক্ষণ জেগে না থাকাই ভাল। এতে ঘুমের একটা ভারসাম্য বজায় থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন