Causes of a cough

কাশি কিছুতেই কমছে না? সঙ্গে আরও ৫ উপসর্গ থাকলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

কিন্তু কাশি যে শুধু ঠান্ডা লাগলে হয় তা কিন্তু নয়। গলায় সংক্রমণ, পেটের কোনও সমস্যা, ক্রনিক রোগও কাশির নেপথ্যে থাকতে পারে। তাই কাশির সমস্যা একেবারেই অবহেলা করলে চলবে না। কাশির সঙ্গে কোন লক্ষণগুলি দেখলে সাবধান হবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১১
Share:

কাশিকে সাধারণ ভেবে অবহেলা নয়। ছবি: সংগৃহীত।

বর্ষার এই মরসুমে এখন সর্দি-কাশি হল নিত্যদিনের সঙ্গী। জ্বর কমছে তো সর্দি সারছে না, গলা খুসখুস সেরে গেল তো কাশি থামছে না। অফিস, মেট্রো, শপিংমল, রাস্তাঘাট— সর্বত্র কাশির শব্দে মুখর। অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা যতটা গুরুত্ব পায়, কাশি কিন্তু সেক্ষেত্রে খানিকটা অবহেলিত। কাশি হলে এক চামচ সিরাপ খেয়ে নেওয়াই যথেষ্ট বলে মনে হয় অনেকেরই। আবার অনেকে সেটাও করেন না। কিন্তু কাশি যে শুধু ঠান্ডা লাগলে হয় তা কিন্তু নয়। গলায় সংক্রমণ, পেটের কোনও সমস্যা, ক্রনিক রোগও কাশির নেপথ্যে থাকতে পারে। তাই কাশির সমস্যা একেবারেই অবহেলা করলে চলবে না। কাশির সঙ্গে কোন লক্ষণগুলি দেখলে সাবধান হবেন?

Advertisement

১) গোলাপি বা লালে কফ: অনেক সময়ে ফুসফুসে এক ধরনের তরল জমা হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘এডিমা’। দীর্ঘ দিন ধরে বুকে কফ বসে থাকার কারণে সংক্রমণ হয়। আর এই সংক্রমণের ফলে এক ধরনের তরল ফুসফুসে জমা হতে থাকে। তার জেরেই শ্লেষ্মার রং বদলে যায়। এ ছাড়া, অনেক সময়ে নাকের টিস্যু ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। সে কারণেও কফের রং লালচে হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া নিউমোনিয়া, ফুসফুসের সংক্রমণ, ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও কফের রং লালচে হয়ে যেতে পারে।

২) হলুদ কফ: শরীরে বড় রকম কোনও সংক্রমণ হলে সাধারণত কফের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা বাড়লে এমন হয়। তাই কফের রং এমন হলে সাবধান। দ্রত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Advertisement

৩) শ্বাস নিতে কষ্ট: একটানা কাশি হলে শ্বাসকষ্ট হয়। কিন্তু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গেলে ফেলে রাখা ঠিক হবে না একেবারেই। কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্টের নেপথ্যে থাকতে পারে অম্বল, অ্যাজ়মা, অ্যালার্জির সমস্যা। তাই নিজের চিকিৎসা নিজে না করে বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪) দু’সপ্তাহ ধরে কাশি: ঠান্ডা লাগলে কাশি হলে তা ৪-৫ দিনের বেশি থাকে না। তবে ২-৪ সপ্তাহ ধরে কাশি না থামলে বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখা জরুরি। গলায় কোনও সংক্রমণের কারণে এমন হতে পারে।

৫) জ্বর: কাশির সঙ্গে যদি জ্বর কিছুতেই না কমে, তা হলে কিন্তু সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরমর্শ নেওয়া জরুরি। রাতে ঘুমের মধ্যে ঘাম হচ্ছে, মাথা ব্যথা, হঠাৎ অনেকটা ওজন কমে যাচ্ছে— কাশির পাশাপাশি এই উপসর্গগুলি দেখলেও সাবধান হোন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement