কলা এবং খেজুরের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী? ছবি: সংগৃহীত।
দিনের মধ্যে একাধিক বার ছোট খাবারের (স্ন্যাক) প্রয়োজন হয়। যাঁরা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পক্ষে, তাঁরা কিন্তু খিদে পেলে ভাজাভুজি এড়িয়ে চলেন। এ ক্ষেত্রে অনেকেই খেজুর বা কলার সাহায্য নেন। কারণ দু'টি খাবারই পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। কিন্তু কোনটি খেলে উপকার বেশি?
কলা বনাম খেজুর
কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে কলা এবং খেজুরের মধ্যে তুলনার প্রয়োজন।কারণ দু'টি ফলই উপকারী।
১) ১০০ গ্রাম কলার মধ্যে প্রায় ৮৯ ক্যালোরি থাকে। অন্য দিকে সমপরিমাণ খেজুরের মধ্যে ১৮০ ক্যালোরি থাকে।
২) ১০০ গ্রাম খেজুরের মধ্যে প্রায় ৬৪ গ্রাম শর্করা থাকে। তাই খেজুর খেলে দেহে শর্করার চাহিদা কমে। খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হওয়ায়, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্য দিকে সমপরিমাণ কলার মধ্যে মাত্র ১২ গ্রাম শর্করা থাকে। ফলে যাঁরা সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কলা বেশি উপকারী।
৩) ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খেজুরের তুলনায় কলা বেশি উপকারী হতে পারে। কারণ, কলার মধ্যে ক্যালোরি কম। অন্য দিকে শরীরচর্চার পরে দু'টি খাবারই উপকারী। শরীরচর্চার পরে দেহে শক্তির প্রয়োজন হয়। আর কলার তুলনায় খেজুর অনেক কম সময়ে শক্তি প্রদান করতে পারে।
৪) ১০০ গ্রাম কলা এবং খেজুরের মধ্যে যথাক্রমে ২.৬ গ্রাম এবং ৮ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। উভয়েই খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তবে এ ক্ষেত্রে খেজুর কিছুটা এগিয়ে রয়েছে।
৫) কলার মধ্যে খেজুরের তুলনায় বেশি মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। তাই হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কলা বিশেষ উপকারী। অন্য দিকে খেজুরের মধ্যে আয়রন এবং ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে।
কলা এবং খেজুর, দুই-ই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তাদের আলাদা আলাদা গুণ রয়েছে। সুষম আহারের মধ্যে কলা এবং খেজুরকে রাখা যায়। তবে কোন সময়ে ব্যক্তি কলা বা খেজুর খাবেন, তার উপর নির্ভর করে তাদের উপকারিতা। মনে রাখতে হবে, কলা এবং খেজুর কোনওটিই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।