ডায়াবেটিকদের জন্য সতর্কতা। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিসের রোগী মানেই খাওয়াদাওয়ায় কড়াকড়ি। আর অজান্তেই নানারকম খাবারের মাধ্যমে তাঁদের শরীরে চিনি ঢুকে যাচ্ছে। কিন্তু রক্তে শর্করার পরিমাণ কত হচ্ছে, সেটি নজরে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ ডায়াবেটিকদের জন্য। অনেকেই মনে করেন, ফলের রস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পা না। রোগীদের নাকি ক্ষতি হয় না। কিন্তু তা আদতে ভুল। নরম পানীয় এবং ফলের রস, উভয়ই ডায়াবেটিকদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। তবে যদি প্রশ্ন ওঠে, কোনটি বেশি ক্ষতিকারক? দু’টোই কি সমান ভাবে খারাপ? তুলনামূলক আলোচনা করলে উত্তর মিলতে পারে।
ডায়াবিটিসের চিকিৎসকদের মতে, ফলের রস ও নরম পানীয়— দু’টিতেই প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। বাড়িতে বানানো হোক বা দোকানের কেনা, এক গ্লাস ফলের রসে প্রায় ১৫ চামচ চিনি পাওয়া যায়। নরম পানীয়েও প্রায় সমান পরিমাণ মিষ্টি থাকে। শরীরে এই চিনি দ্রুত প্রবেশ করে রক্তের শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়। প্যাকেটজাত ফলের রসে এর সঙ্গে আবার সংরক্ষণ করার রাসায়নিক ও অতিরিক্ত চিনি মেশানো থাকে, যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
নরম পানীয় এবং ফলের রস, উভয়ই ডায়াবেটিকদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। ছবি: সংগৃহীত।
যদিও নরম পানীয় কেবল ক্যালোরিই পাওয়া যায়। কোনও ভিটামিন বা খনিজ নেই। তবে ফলের রসে কিছু পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, তবে ফাইবার না থাকায় রক্তে দ্রুত শর্করা বেড়ে যায়। অর্থাৎ অতিরিক্ত ফলের রস পান করাও ঝুঁকিপূর্ণ।
ডায়াবেটিকদের জন্য নির্দেশাবলি
১. পুরো ফল খাওয়াই ভাল, কারণ এতে ফাইবার থাকে যা শরীরে শর্করার শোষণ ধীরে করে।
২. যদি রস পান করতেই হয়, তবে বাড়িতে তৈরি, চিনি ছাড়া ও অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত।
৩. প্যাকেটজাত ফলের রস ও নরম পানীয়— দু'টিই এড়িয়ে চলা ভাল।
৪. দোকান থেকে কিনলে লেবেলে চিনির পরিমাণ দেখে নেওয়া উচিত।