লাউয়ের রস কখন ক্ষতিকর হতে পারে? ছবি:শাটারস্টক
ভিটামিন বি, সি-তে ভরপুর। রয়েছে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রনও। জলের পরিমাণ বেশ বেশি। ক্যালোরি কম। কম ক্যালোরির পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় অনায়াসে রাখা যায় লাউ। স্বাস্থ্যকর উপযোগিতার কথা মাথায় রেখে অনেকেই দিন শুরু করেন সব্জিটির রস খেয়ে। কিন্তু লাউ কারও কারও জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে।
লাভ-ক্ষতির দাঁড়িপাল্লায় মাপলে অবশ্য উপকারিতার দিকেই পাল্লা ভারী হবে। জলের ভাগ বেশি থাকায়, লাউয়ের রস শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বার করে দিতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভিটামিন সি এবং জ়িঙ্কের গুণে ভরপুর লাউ ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। ক্যালোরি কম এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। ফলে ওজন কমাতে চাইলেও নিশ্চিন্তে এটি খাওয়া যায়। লাউয়ের রসের সঙ্গে যদি আদার রস মিশিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে গলা-বুকজ্বালার সমস্যা দূর হতে পারে। লিভারের যে কোনও জটিল অসুখের ঝুঁকিও কমে। পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে সব্জিটি।
কখন ক্ষতিকর?
উপকারী বলেই যে তা সকলের সহ্য হবে এমন নয়। তা ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত খেলেও শরীরে সমস্যা হতে পারে। লাউয়ের মধ্যে মেলে কিউকারবিটাসিন। এটি তেতো স্বাদের। বিষাক্ত এই উপাদান প্রাকৃতিক ভাবেই সব্জিটিতে থাকে। মূলত পোকামাকড়ের হানা থেকে ফলটিকে বাঁচাতে এটি তৈরি হয়। এই উপাদানটি অল্পমাত্রায় শরীরে গেলে সমস্যা নেই। কিন্তু বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে বমি, পেটফাঁপা, আন্ত্রিক বা পেটের সমস্যার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সেই কারণে লাউয়ের রস যদি তেতো লাগে, সেটি না খাওয়া ভাল। বিভিন্ন প্রজাতির লাউয়ে এটি বিভিন্ন মাত্রায় থাকে। ফলে বোঝা কঠিন, কোন লাউ থেকে সমস্যা হতে পারে।
সমস্যা এড়াতে কী করবেন?
কী ভাবে লাউয়ের রস তৈরি করা হচ্ছে বা সব্জি রান্না হচ্ছে, তার উপর কিউকারবিটাসিনের মাত্রা নির্ভর করে। লাউয়ের রস তৈরির সময় খোসা ভাল করে ছাড়িয়ে এবং ধুয়ে নেওয়া দরকার। লাউয়ের রস খেয়ে পেটের সমস্যা হলে সেটি এড়িয়ে চলাই ভাল।