ছবি : সংগৃহীত।
বাঙালির রান্নাঘরে কারিপাতা রোজ আসে না। কারণ বাংলার সব রান্নায় কারিপাতা ব্যবহার হয় না। কোনও দিন সুজির উপমা বা চিঁড়ের পোলাও রান্না করলে কেউ সাধ করে কারিপাতা ব্যবহার করেন। কিংবা কোনও বিশেষ রান্নার রেসিপিতে কারিপাতা ব্যবহার করার কথা বলা থাকলে আগে থেকে আয়োজন করে আনানো হয় কারিপাতা। কিন্তু রোজের ডালে, তরকারিতে কারিপাতা পড়ে না। অথচ স্বাদ এবং সুগন্ধ বর্ধক এই পাতা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এক আধ দিন ব্যবহারের বদলে নিয়মিত খাবারে কোনও না কোনও ভাবে লাভ আপনারই।
কী কী উপকার কারিপাতার?
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট: কারিপাতায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে বাঁচায়। এই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ক্যানসারেরও কারণ। কারিপাতায় থাকা জোরালো অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সেই অর্থে ক্যানসারের মতো জটিল রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল কমাতে: কারিপাতায় থাকা উপাদান রক্ত থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত বাইরের তেল মশলা খাওয়ার ফলে শরীরে নানা ধরনের অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট যায়। যা বিষাক্ত পদার্থের জন্ম দেয়। যা থেকে তৈরি হয় কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো সমস্যা। যা হার্টের রোগেরও কারণ। কারিপাতা রক্তকে পরিশ্রুত করে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবিটিসে: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে কারিপাতা। যা ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
প্রদাহনাশক: কারিপাতায় রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। শরীরে অতিরিক্ত বহু রোগের কারণ। আর্থ্রারাইটিস থেকে শুরু করে হজমের সমস্যা, ক্যানসার থেকে শুরু করে হার্টের রোগ, অনেক কিছুরই কারণ শরীরে বাড়তি প্রদাহ। কারিপাতা সেই ব্যথা, জ্বালা, যন্ত্রণার উপশম করে।
চুল এবং ত্বকের জন্য: যেহেতু কারিপাতায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি, তা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে। এতে থাকা বিটা ক্যারোটিন এবং প্রোটিন চুলের গোড়ায় শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। চুল পড়া কমায়। চুলের অকালপক্কতাও কমায়। খুশকি রোধ করে। অন্য দিকে, এতে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।