বাতের ব্যথায় বেগুন নয়, অম্বলে আপেল নয়, আর কোন রোগে কী খাবেন না? ছবি: ফ্রিপিক।
তেলমশলা ছাড়া সুষম খাবার আর নানা ধরনের মরসুমি ফল— ডায়েটে এই দু’টিই রাখতে বলা হয়। শরীর সুস্থ রাখতে নানা ধরনের ফল খাওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়। ফল মানেই স্বাস্থ্যকর, এমনই ধারণা আছে অনেকের। ফল ভাল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে সকলের জন্য সব ফল উপকারী নয়। প্রত্যেকেরই কমবেশি শারীরিক সমস্যা আছে। কেউ অম্বলে বেশি ভোগেন, তো কারও রক্তে শর্করা বেশি। যাঁর যেমন সমস্যা, তাঁকে বুঝেশুনে তেমন ফলই খেতে হবে।
অম্বল আছে মানেই টকজাতীয় ফল একেবারেই খাওয়া যাবে না, তা কিন্তু নয়। বরং এমন কিছু ফল না জেনেই রোজ খাওয়া হয়, যাতে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই কোন রোগে কী ফল খাওয়া যায় না, তা জেনে রাখাই ভাল।
ডায়াবিটিসে সাবধান
রক্তে শর্করার মাত্রা যদি ওঠানামা করে এবং নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয়, তা হলে কলা ও আঙুর জাতীয় ফল না খাওয়াই ভাল। এই দু’টি ফলেই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব বেশি। রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। তার মানে কলা বা আঙুর খাওয়া একেবারে বাদ দিয়ে দিতে হবে, তা নয়। খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।
রোগ যখন কিডনিতে
কিডনির রোগ থাকলে বেশি পটাশিয়াম আছে এমন খাবার বা ফল খাওয়া যায় না। তাই কলা, কমলালেবুর মতো ফল আপনার জন্য নয়। শুধু তা-ই নয়, খেজুর, আখরোট, কিশমিশ খেলেও কিন্তু রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যাবে।
গাঁটে গাঁটে ব্যথায়
বাতের ব্য়থা, হাঁটুর ব্যথায় ভুগলে বেশি টম্যাটো, বেগুন না খাওয়াই ভাল। এই ধরনের সব্জি প্রদাহ অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়। এতে ব্য়থাবেদনা আরও বাড়ে।
সমস্যা যখন পেটে
অতিরিক্ত গ্যাস-অম্বল, গলা-বুক জ্বালার সমস্যা থাকলে আপেল, তরমুজ, চেরি জাতীয় ফল খাওয়া ঠিক নয়। এই সব ফলে ফ্রুক্টোজ় ও সর্বিটলের মাত্রা বেশি, যা হজমে সমস্যা করতে পারে। তা ছাড়া আপেলে ফাইবারের মাত্রা বেশি, যা বদহজমের কারণ হতে পারে।
ত্বকের সমস্যায়
ত্বকের কোনও রোগ, যেমন চুলকানি, এগজ়িমা, সোরিয়াসিস থাকলে আম, আনারস, কমলালেবুর মতো ফল না খাওয়াই ভাল। এতে অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে
রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি হলে নারকেল, লেবু জাতীয় ফল না খাওয়াই ভাল। হাইপারটেনশন থাকলে এই সব ফল মাইগ্রেনের সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে।