বর্ণে-রঙে বাস্তু
স্বাস্থ্য ও মনের উপর রঙের প্রভাব প্রচন্ড। আকর্ষক রঙের পরিবেশে মনও থাকে আনন্দে পরিপূর্ণ। একঘেয়ে ভাব কেটে যায়। নিরাশা দুর হয়ে যায়। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী যদি ঘরের সাজসজ্জাতে রঙের গুণগত মান বিচার করা হয়। তবে সুখ সমৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী ।।
ঘরের বিভিন্ন স্থানের জন্য কিভাবে কি কি শুভাশুভ রঙ নির্বাচন করবেন---------------
১. গৃহের প্রবেশ দ্বারের বালা ,হ্যাশ বা হাতলের রঙ সাদা, হালকা নীল বা সবুজ রঙ হওয়া ভাল। কোনও মতেই এগুলি কালো বা ধূসর রঙ করা উচিত নয়।
২. রান্না ঘরের জন্য সব চেয়ে উপযুক্ত রঙ সাদা অথবা যে কোনও হালকা রঙ। লাল রঙ রান্না ঘরের জন্য যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
৩. খাবার ঘর সবুজ অথবা নীল রঙের হলে ভাল হয়। কারণ এর ফলে পাচন ক্রিয়া ঠিক ঠাক কাজ করে।
৪. নববিবাহিত দম্পতিদের ঘরে সাদা রঙ করা উচিত। এতে পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা অটুট থাকে এবং ঘরের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকে।
৫. বাচ্চাদের ঘর সবসময় গোলাপী ও ক্রিম রঙের হওয়া উচিত। এছাড়া এদের ঘরের পর্দা থেকে আসবাবপত্র সব কিছু সাদা রঙের হলে ভাল হয়। এই রঙের প্রভাবে বাচ্চাদের একগ্রতা বৃদ্ধি পায় । লাল ও কালো রঙ একেবারেই বর্জন করা উচিত। তবে বাচ্চাদের ঘরে কিছু কিছু আসবাবপত্র কালো রঙের করা উচিত। এর ফলে এদের মাথায় কোনও কুবুদ্ধি থাকলে সেটা
দুরীভূত হয়ে যায়।
৬. ঠাকুর ঘর সাদা অথবা পাড়ু রঙের হওয়া শুভজনক।