সকলের হাতেই কম বেশি নানা ধরনের, নানা আকৃতির চিহ্ন থাকে। সাধারণত হাতে যে সকল চিহ্নগুলি থাকে সেগুলি হল চতুষ্কোণ চিহ্ন, তারা চিহ্ন, যব বা দ্বীপ চিহ্ন, ক্রস চিহ্ন ইত্যাদি। এই চিহ্নগুলিকে দেখেও মানুষের ভাগ্য সম্বন্ধে জানা সম্ভব। এক কথায় বলতে গেলে হাতের রেখার যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি গুরুত্ব রয়েছে এই চিহ্নগুলিরও। আর তাই এই গুরুত্বের কথা ভেবেই আজকের আলোচ্য বিষয় যব বা দ্বীপ চিহ্নঃ—
যব চিহ্ন বা দ্বীপ চিহ্ন নানা রকমের হয়ে থাকে। হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ব্যতীত অন্য কোনও স্থানে থাকা এটি থাকা শুভ নয়। কারন এই চিহ্নটি সব সময় কুফল প্রদান করে। তবে এটি চতুষ্কোণের মধ্যে থাকলে এই অশুভ শক্তি কিছুটা বিনষ্ট হয়।
১। যব চিহ্নটি মঙ্গলের ক্ষেত্রে ও শিরোরেখার উপর থাকলে জাতকের মাথার গোলমালের আশঙ্কা। আত্মহত্যার ইচ্ছা এদের মধ্যে প্রবল হয়।
২। এই চিহ্নটি ভাগ্য রেখার উপরে থাকলে বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে জাতকের অর্থের ক্ষতি হয়।
৩। দ্বীপ চিহ্নটি হৃদয় রেখায় উপরে থাকলে জাতক-জাতিকার হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে থাকে। ফলে হৃদয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪। এই চিহ্নটি বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ায় থাকলে জাতক ধনী, জ্ঞানী, সম্মানীয় ও দীর্ঘজীবী হয়ে থাকেন।
৫। এটি যদি তর্জনী, মধ্যমা বা অনামিকার গোড়ায় থাকে, তা হলে জাতক ধনী ও সুখী হন। স্ত্রী পুত্র নিয়ে সুখে দিনযাপন করবেন।
৬। দ্বীপ চিহ্নটি বৃদ্ধাঙ্গুলির মাঝখানে থাকলে জাতক বিদ্বান, জ্ঞানী এবং দয়ালু হয়ে থাকেন। বাবা-মার ভক্ত হয়ে থাকেন। জীবনে প্রচুর যশলাভ করেন। এবং রাহু ও কেতুর ক্ষেত্রেও সমস্ত দোষ নষ্ট হয়ে যায়।
৭। এই চিহ্নটি চন্দ্রের স্থানে থাকলে জাতক মানসিক অশান্তিতে ভোগেন।