কী ভাবে সিদ্ধিদাতা গণেশের উপাসনা করলে জীবনে সাফল্য আসবে

প্রচলিত নীতি ছাড়াও আরও বহু প্রকারে গণেশ পূজা সম্পন্ন করা যেতে পারে। নীতিগুলি দেখে নেওয়া যাক—

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৭ ১২:৩৯
Share:

সিদ্ধিদাতা গণেশ। ছবি সৌজন্য: শাটারস্টক।

মানসিক শক্তির অভাব থেকে মানুষের জীবনে পরাজয় ও হতাশা নেমে আসে। যার ফলে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া যায়না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে সিদ্ধিদাতা গণেশের আশীর্বাদ মানুষের জীবনে শান্তি এনেছে, শক্তির সঞ্চার করেছে। অনেক দুঃসাধ্য কর্মও সহজে করা গিয়েছে।

Advertisement

গণেশ পূজা করতে গেলে তাঁর পূজার নিয়মনীতিগুলি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা একান্ত প্রয়োজন। তাঁর মন্ত্র হল “গং গণেশায় নমঃ”। গায়ত্রী হল, “ওঁ একদন্তায় বিদ্মহে বক্রতুন্ডায় ধীমহি। তন্নো দন্তি প্রচোদয়াৎ।“ পুরাণে আছে আয়ু, অভীষ্ট, অভিলাষ ধনরত্ন লাভ করতে হলে নতমস্তকে গণেশের প্রতি প্রণাম করে পূজা করলে সিদ্ধিলাভ করা যায়।

যিনি প্রতি দিন ত্রিসন্ধ্যায় গণেশের দ্বাদশ নাম বা স্তোত্র পাঠ করেন, তাঁর সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয় তথা সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়। যে বিদ্যার্থীর বিদ্যার্জনে বাধা আছে সে যদি গণেশ স্তোত্র লিখে আট জন ব্রাহ্মণকে দান করে সে গণেশের কৃপা লাভ করে তথা বিদ্যাদেবী তার প্রতি সহায় হন।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাড়িতে কোন সময় প্রতিমা স্থাপন করা উচিত?

প্রচলিত নীতি ছাড়াও আরও বহু প্রকারে গণেশ পূজা সম্পন্ন করা যেতে পারে। নীতিগুলি দেখে নেওয়া যাক—

পূজা মন্ত্রটি হল— “ওঁ হস্তিমুখায় লম্বোদরায় উচ্ছিষ্ট মহাত্মনে আং ক্রীং হ্রীং ক্লীং হীং হুং খে খে উচ্ছিস্টায় স্বাহা”।

১। কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী থেকে শুক্লপক্ষের অষ্টমী পর্যন্ত প্রতি দিন এক হাজার আট বার মন্ত্র জপ করতে হবে। একশো আট বার হোম-সহ একশো আট বার তর্পনও করতে হয়। এ ভাবে পূজা করলে কীর্তি, সমৃদ্ধি, সম্পত্তি ও পুত্রলাভ সম্ভব।

২। শ্বেত ইক্ষু কিংবা নিমের কাঠি দিয়ে গণেশ মূর্তি তৈরী করে চতুর্থীর রাত্রিতে লাল ফুল ও রক্ত চন্দন দ্বারা পূজা করতে হয়। তারপর এক হাজার বার উচ্ছিষ্ট গণপতি মন্ত্র জপ করার পর মূর্তিকে নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। শ্রী গণেশ তবেই ভক্তের স্বপ্নে আসেন এবং ভক্তের সমস্ত কার্যসিদ্ধি করেন।

আরও পড়ুন: গৃহদেবতা স্থাপন করে ফেললই হল না, নিয়মটা আগে জানতে হবে

৩। নিমের কাঠ থেকে শ্রী গণেশের মূর্তি নির্মাণ করতে হয়। পূজার সময় আসলে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে মূর্তির সামনে মন্ত্র জপ করতে হয়। এ ভাবে পূজা করলে ভক্তের অমোঘ ফল লাভ হয়।

৪। উক্ত মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে যজ্ঞকাষ্ঠ সহযোগে সহস্রাগ্নি দ্বারা হোম করতে হয়। এই প্রক্রিয়ার অনুসারী যে সমস্ত ভক্তরা হন তাঁদের শত্রুনাশ হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন