সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের ‘ভাইজান’ সলমন খানের হাতে দেখা গেল নীলার আংটি। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে সলমনের ডান হাতের মধ্যমায় একটি চৌকো আকৃতির নীলার আংটি দেখা গিয়েছে। এত দিন ধরে আমরা সকলেই ভাইজানের হাতে ঝোলা আকাশি বর্ণের টারকোয়েজ়-এর ব্রেসলেট দেখেছি। কিন্তু এখন হঠাৎ নীলাতে মন মজল কেন সলমনের? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত ভাইজানের অনুগামীরা।
জ্যোতিষী জানাচ্ছেন, নীলা হল শনিদেবের রত্ন। শনির প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে কার্যকরী নীলা। আমরা প্রায় অনেকেই জানি যে বর্তমানে শনির সাড়েসাতি দশা চলছে। মীন রাশিতে অবস্থান করছে শনি। কিছু দিন আগে শনি গতি বদলে বক্রগতি প্রাপ্তও হয়েছে। এর ফলে শনির কুপ্রভাব দানের ক্ষমতাও আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। মীন-সহ অন্যান্য রাশির ব্যক্তিরাও এর প্রভাবে ভুগছেন।
অন্য দিকে, আমরা অনেকেই জানি যে ভাইজানের সময়টা একটু খারাপই যাচ্ছে। ২০২৪-এ সলমনের বন্ধু ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির খুনের পর বলি তারকার নিরাপত্তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে দেখা গিয়েছে। বিশনোই গ্যাং-এর থেকে বার বার খুনের হুমকি পেয়েছেন তিনি। সেই কারণে তাঁকে কঠোর রক্ষণাবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মুম্বইয়ে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের কাছে গুলিও চলে। গত এপ্রিলে ইদে বুলেটপ্রুফ কাচের দেওয়ালের আড়াল থেকে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানান সলমন। মে মাসে তাঁর বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করার অভিযোগে এক মহিলা ও এক পুরুষকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। ভাইজানকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পুলিশের তরফে। জ্যোতিষীর ধারণা, নিছক কায়দার জন্য নয়, শাস্ত্র মেনেই সলমন নীলার আংটি পরেছেন। তবে সলমনও কি শনির সাড়েসাতি দশার শিকার? সেটা হলফ করে বলা যাবে না। কারণ, এ ক্ষেত্রে সলমনের জন্মছক বিচার বাঞ্ছনীয়। সলমন কোথায়, কোন দিন, কোন সময় জন্মেছেন সেটি সঠিক ভাবে না জেনে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
নীলার আংটি পরলে কী হয় এবং এটি ধারণের নিয়ম কী?
নীলা ধারণের নিয়ম: ভাইজানকে দেখে মন চাইল আর নীলা পরে নিলেন, এমন করলে হবে না। নীলা ধারণের বিশেষ নিয়ম রয়েছে। সেটি মেনেই ধারণ করতে হবে। বিশুদ্ধ নীলা ধারণ করার আগে ধারণকারীকে কয়েক দিন আগে থেকে রত্নটিকে কাছে রেখে পরীক্ষা করে দেখতে হয়, যে রত্নটি তার সহ্য হয় কি না। অর্থাৎ, ধারণকারীর সঙ্গে কোনও দুর্ঘটনা বা মাথা ঘোরা বা শরীর খারাপ হচ্ছে কি না সেটা খেয়াল রাখতে হবে। যদি না হয় তবেই ধারণ করতে পারেন, অন্যথায় নয়। শনি গ্রহের প্রতিকার করার জন্য ইন্দ্রনীলা ৫-৮ রতি ধারণীয়। শনিবার বা অমাবস্যা হল নীলা ধারণের উপযুক্ত সময়। নীলা ধারণের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান হল ঊর্ধ্বাঙ্গ। অন্যথায় মধ্যমায় ধারণ করা যায়। সীসা বা সোনায় এই রত্ন ধারণ করতে হবে।
নীলার ব্যবহারের উপকারিতা: মানসিক শান্তি ও সাহস বৃদ্ধিতে, কফ, পিত্ত ও বায়ুনাশ করতে, মহা দুঃখ, জীবনে অস্থিরতা, অলসতা, নানা ঝামেলা, দীন-দুর্দশা এবং শনি গ্রহের প্রতিকারার্থে নীলা ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।