(৪) যাত্রার সময়ে লগ্ন যদি সিংহ, কন্যা, বৃশ্চিক, মীন, মকর এবং কুম্ভ হয়, তবে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যাত্রা শুভ হবে।
(৫) যারা ভ্রমণে যাবেন, বাস বা ট্রেনে বা গাড়িতে, তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন, মীন, কন্যা, মিথুন ও ধনু- এই যুগ্নলগ্নগুলি এড়িয়ে যাত্রা আরম্ভ করতে। তিথি হিসেবে নন্দা তিথিতে যাত্রা শুরু না করাই ভাল।
(৬) আবার তুলা, সিংহ, বৃশ্চিক ও মকর লগ্ন যদি কোনও মাসের ১, ৬, ১১ তারিখে পড়ে, তা হলে এই তারিখের লগ্নগুলিতে যাত্রা না শুরু করাই ভাল।
(৭) যদি কোনও মাসের ২,৭ ও ১০ তারিখে কুম্ভ ও মীন লগ্ন যুগ্ম ভাবে পড়ে, অর্থাৎ তিথি যদি ভদ্রা হয়, তবে একদম যাত্রা না করাই ভাল।
(৮) আবার জয়া তিথিতে কোনও মাসের ৩, ৮ ও ১৩ তারিখে লগ্ন যদি কন্যা বা মিথুন পড়ে, তা হলে যাত্রা আরম্ভ না করাই ভাল।
(৯) কোনও মাসের ৪, ৯ ও ১৪ তারিখে যদি মেষ বা কর্কট লগ্ন পড়ে আর তিথি যদি রিক্তা হয়, তা হলে যাত্রা না শুরু করলেই ভাল হয়।
(১০) কুম্ভ বা বৃশ্চিক লগ্ন যদি কোনও মাসের ৫ বা ১০ তারিখে পড়ে আর তিথি যদি হয় পূর্ণিমা, তা হলে সে সময়ে যাত্রা করলে খারাপ ফল ঘটবে।
(১১) যারা বিশেষ উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে চায়, যেমন, চাকরি, তীর্থ ভ্রমণ, উদ্ধারমূলক কাজ, তারা অবশ্যই যাত্রা সময়ে পুষ্যা, অশ্বিনী, অশ্লেষা, শতভিষা ও ধনিষ্ঠা নক্ষত্রগুলিকে বিশেষ ভাবে পরিহার করে চলুন। না হলে সমূহ বিপদ।
(১২) আবার যখন ব্যবসা বা অর্থনৈতিক কাজে বা নতুন কোনও লগ্নি করতে চলেছেন, সেই সময়ের অর্থাৎ যাত্রা আরম্ভের মুহূর্তের নক্ষত্র হওয়া চাই পুনর্বসু, ভরণী, স্বাতী, মঘা, পূর্বভাদ্রাপদ ও জেষ্ঠা।
(১৩) বিবাহকালীন যাত্রা শুরুর সময়ে নক্ষত্র হতে হবে পূর্বফাল্গুনী,আর্দ্রা, চিত্রা, উত্তরভাদ্রাপদ, কৃত্তিকা ও মূলা।