Astro Tips

কেবল স্টিলের বাসনই নয়, আরও দুই ধাতুর পাত্র ব্যবহারে রুষ্ট হন দেবতা, গ্রহণ করেন না ভোগ! জেনে নিন কী কী

ইষ্টদেবতাকে খুশি করার জন্য আমরাঅনেক কিছুই করে থাকি। আর সবটাই করি মন থেকে, তাঁদের কৃপা লাভ করার জন্য। কিন্তু কোনটা করা ঠিক, কোনটা ভুল সেটা না জেনে করার ফলেই ঘটে বিপদ।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৩১
Share:

ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।

প্রত্যেক বাঙালি হিন্দু বাড়িতেই ঠাকুরের জন্য আলাদা বাসন থাকে। তাতে কেবল ঠাকুরের ভোগই রান্না করা হয়। এই একটা ব্যাপার প্রায় সকল বাঙালি হিন্দুই মন থেকে মানেন। ঠাকুরের বাসনের ধারেকাছে রোজকার ব্যবহৃত বাসন আসতে দেন না। নানা ধাতু দিতে গড়া বাসন এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কাঁসা, পিতল থেকে শুরু করে স্টিল, এমনকি লোহার কড়াইও বাদ পড়তে দেখা যায় না। আর এখানেই মানুষ নিজের অজান্তেই ভুল করে বসেন।

Advertisement

ইষ্টদেবতাকে খুশি করার জন্য আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। আর সবটাই করি মন থেকে, তাঁদের কৃপা লাভ করার জন্য। কিন্তু কোনটা করা ঠিক, কোনটা ভুল সেটা না জেনে করার ফলেই ঘটে বিপদ। যে কোনও ধাতুর বাসনে ভগবানের ভোগ নিবেদন করতে নেই। এই কথাটা আমরা অনেকেই জানি না। বেশ কিছু ধাতুর পাত্র রয়েছে যাতে ভোগ দিলে ভগবান সেই ভোগ গ্রহণ তো করেনই না, উল্টে রুষ্ট হন।

কোন ধাতুর পাত্রে ভোগ দিতে নেই?

Advertisement

পুজোর কাজে ব্যবহার করার জন্য প্রাকৃতিক ধাতুকে শুভ বলে মনে করা হয়। সেই কারণে স্টিলের পাত্রে ঠাকুরকে ভোগ দেওয়া উচিত নয়। কারণ, স্টিল মানুষের তৈরি ধাতু। এ ছাড়া, লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রেও ঠাকুরকে নৈবেদ্য দিতে নেই। লোহায় জং পড়ে আর অ্যালুমিনিয়াম থেকে কালো রং ছাড়ে। সেই কারণে এই দুই ধাতু দ্বারা তৈরি পাত্রেও ঠাকুরের ভোগ নিবেদন করা যাবে না। তবে শনিদেবের পুজোয় লোহার বাসন ব্যবহার করা শুভ। এতে তিনি প্রসন্ন হন।

কোন কোন ধাতুর তৈরি পাত্রে ভগবানকে ভোগ নিবেদন করা যাবে?

পুজোআচ্চায় সোনা, রুপো, তামা, কাঁসা, পিতল প্রভৃতি প্রাকৃতিক ধাতুর পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। শাস্ত্রমতে, ভিন্ন ভিন্ন ধাতুর পাত্র ব্যবহারে পৃথক পৃথক ফলপ্রাপ্তি ঘটে। সকল ধাতুর মধ্যে তামা সবথেকে শুদ্ধ। এই ধাতুর পাত্রে ঠাকুরকে জল দান করা যেতে পারে। তবে শনিদেবকে তামার পাত্রে জল দেবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement