—প্রতীকী ছবি।
প্রায় সব বাড়িতেই পুজো করার সময় ধুনো জ্বালানো হয়। বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যা ধুনো জ্বালানো খুবই শুভ বলে মানা হয়। ধুনো ঘর থেকে নেগেটিভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া, আরও নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ধুনো। বাড়িতে যদি কোনও প্রকার অশান্তি থাকে বা বাড়ির মানুষ অসুস্থ থাকে অথবা আর্থিক দিকে যদি কোনও সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রেও ধুনো জ্বালালে খুবই উপকার পাওয়া যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রে কিছু টোটকা বলা হয়েছে, যা ধুনো জ্বালানোর সময় পালন করলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
দেখে নেব টোটকা:
১) প্রতি মঙ্গলবার এবং শনিবার ধুনো জ্বালানোর সময় কিছুটা সাদা সর্ষে ধুনোর আগুনের উপর দিয়ে জ্বালুন।
২) ধুনো জ্বালানোর সময় সন্ধ্যাবেলা কয়েকটা নিমপাতা দিয়ে তার পর ধুনো জ্বালুন। তবে বৃহস্পতিবার এবং রবিবার নিমপাতা দিয়ে ধুনো জ্বালতে নেই।
৩) বাড়িতে নিয়মিত ধুনো জ্বালালে গৃহের দেব-দেবী খুবই প্রসন্ন থাকেন এবং গৃহে শান্তি বজায় থাকে।
৪) শনি গ্রহের প্রভাব কমাতে শনিবার রাতে ধুনোর মধ্যে পাঁচটা লবঙ্গ দিয়ে জ্বালুন।
৫) ধুনো যে শুধু ঠাকুরের সামনে দেখাবেন তা নয়, ধুনোর ধোঁয়া গোটা বাড়িতেই দেখাতে হয়। বাড়ির সদর দরজায় অবশ্যই ধুনো দেখানো উচিত, এতে বাস্তুদোষ দূর হয়।
৬) জীবনে যদি কোনও গুরুতর সমস্যা থাকে তা হলে রুপো ধারণ করুন। নিয়মিত সেই রুপোতে ধুনো দেখান, সমস্যা কিছুটা হলেও আপনার পিছু ছাড়বে।
৭) ধুনো জ্বালানোর পর সেই ছাই রেখে দেবেন না। সেটি পুরোপুরি বাড়ির বাইরে ফেলে দিতে হবে। তার পর আবার ধুনুচিতে ধুনো জ্বালাতে পারেন। আগের ছাই-সহ ধুনুচির মধ্যে ধুনো জ্বালানো যাবে না।