আপনার মানিকোড জেনে নিন (তৃতীয় অংশ)

কী ভাবে মানিকোড বের করবেন? ধরা যাক, কোনও জাতিকার নাম রত্না বিশ্বাস এবং তাঁর জন্মতারিখ ১ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৯১। রত্নার মানিকোড বের করতে গেলে তাঁর জন্মদিন সংখ্যা আর জন্মমাস সংখ্যা যোগ করতে হবে। রত্নার মানিকোড= জন্মদিন + জন্মমাস= ১+২=৩।

Advertisement

কৃষ্ণপ্রেম

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১৮
Share:

কী ভাবে মানিকোড বের করবেন? ধরা যাক, কোনও জাতিকার নাম রত্না বিশ্বাস এবং তাঁর জন্মতারিখ ১ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৯১।

Advertisement

রত্নার মানিকোড বের করতে গেলে তাঁর জন্মদিন সংখ্যা আর জন্মমাস সংখ্যা যোগ করতে হবে। রত্নার মানিকোড= জন্মদিন + জন্মমাস= ১+২=৩।

অর্থাৎ রত্নার মানিকোড হল ৩। তিনের মানিকোডের তাৎপর্য পূর্বের সংখ্যায় দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মানিকোড নাম্বার ৭(সাত): সাত যাঁদের মানিকোড, তাঁরা অর্থের দিক থেকে সে ভাবে ভাগ্যবান নন। কারণ ৭ মানে আর্থিক ক্ষতি, অর্থ নিয়ে নানা ঝামেলা, দেউলিয়া ইত্যাদি।

আবার, এই ৭ যদি যে কোনও মাসের জন্মদিনের সংখ্যা হয়, অর্থাৎ ৭, ১৬ অথবা ২৫ তারিখে যদি জন্ম হয়ে থাকে, তা হলে আপনি নিজেকে কখনও সংযত রাখতে পারবেন না অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা থেকে। এখানে এই কথা বলতে চাওয়া হচ্ছে যে, আপনি মাসিক বেতন দিয়ে গোটা মাস চালাতে পারবেন না। মাসের শেষে বার বার আটকে যাবেন সংসার খরচ চালাতে। এ ভাবে বলা যায়, আপনার জীবনে বহু উজ্জ্বল ঘটনাবহুল দিন থাকলেও খরচের ক্ষেত্রে তা হতাশাজনক। ঋণে জড়িয়ে পড়বার ঘটনাও খুব একটা কম নয় এঁদের ক্ষেত্রে।

অংশীদারী ব্যবসায়ে পার্টনারকে খুব বেশি বিশ্বাস করা ঠিক নয় এঁদের। অত্যাধিক বিশ্বাসের ফলে ব্যবসায়ে দেউলিয়া হওয়ার ঘটনা ৭-এর মানিকোডে প্রায়ই ঘটে থাকে।

এমন কোনও চুক্তি করা এঁদের উচিত নয়, যেখানে ৭ টাকা, ৭০ টাকা, ৭০০ টাকার মতো অ্যামাউন্ট আছে। এতে ক্ষতি হতে পারে। ৭-কে এড়িয়ে অন্য অ্যামাউন্টের ফিগারে লেনদেন করলে ক্ষতি হবে না।

আরও পড়ুন: আপনার মানিকোড জেনে নিন (দ্বিতীয় অংশ)

যাঁদের মানিকোড ৮(আট): আয়ের দিক থেকে ৮-এর যেন জাদু আছে। সংখ্যাতত্ত্বে এই জন্য ৮-এর বহু প্রশংসা আছে। কারও যদি যে কোনও মাসের ৮ তারিখে জন্ম হয়ে থাকে, তা হলে অর্থের প্রবাহ তাঁর অনুকূলেই থাকবে। অবশ্যই তা ব্যক্তি অনুযায়ী, যে যেমন অর্থ রোজগারের অধিকারী।

অর্থের দিক ৮-কে শুভ সংখ্যা অনেক দেশই মানা হয়। তাই অনেক দেশের কারেন্সিতে আট সংখ্যার নোট থাকে। এই আট সংখ্যার একটি কারেন্সি নোট আপনার মানিব্যাগে সব সময় রেখে দেখুন কী অদ্ভুত ফল ঘটে থাকে। আমাদের দেশে ৮ সংখ্যার কোনও কারেন্সি নোট নেই। তাই সম্ভব হলে অন্য দেশ থেকে কারেন্সি নোট সংগ্রহ করে মানিব্যাগে রাখুন।

চেষ্টা করবেন, টাকা লেনদেনের সময় এই সংখ্যার টাকা লেনদেন করতে। যেমন ৮ টাকা, ৮০ টাকা, ৮০০টাকা ইত্যাদি। এই জাতীয় সংখ্যার লেনদেন হলে রিটার্ন অনেক গুণ বেশি পাওয়া যাবে, ক্ষতির তেমন আশঙ্কা থাকে না।

আরও পড়ুন: প্রচুর অর্থের মালিক হওয়ার পক্ষে এই ৭টি স্বপ্নই যথেষ্ট

যাদের মানিকোড ৯(নয়): আয়ের দিক থেকে এই সংখ্যা কিন্তু নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে। নয় যাঁদের মানিকোড, তাঁরা এই পৃথিবীতে কোনও ক্ষতি করতে আসেননি। একই ভাবে তাঁরা কোনও লাভ করতেও আসেননি।

এঁরা যে পথেই রোজগার করুন না কেন, তাতে এঁদের কোনও ক্ষতি বা লাভের ভিতর দিয়ে যেতে হয় না। জীবনযাপনের জন্য যে স্বাভাবিক চাওয়া পাওয়া, এরা সেটা অবলীলাক্রমে পেয়ে থাকেন। এঁরা জন্ম থেকেই মিতব্যয়ী। তাই অযথা দামি জিনিস কিনে দেখাবার ইচ্ছে এঁদের মধ্যে দেখা যায় না। অন্যেরা খুব খরচ করে বিলাসী জীবন যাপন করলেও এঁরা সব সময় বিরোধী থাকেন।

এঁরা পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে সামাজিক পরিমণ্ডলে জীবন কাটাতে বেশি আগ্রহী। এঁরা হার্দিক ভাবে মেলামেশায় আগ্রহী বেশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন