—প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজো মানেই গুচ্ছ গুচ্ছ কাশফুলের শোভা, দুর্গাপুজো মানেই ঢাকের শব্দ, দুর্গাপুজো মানেই সকলের সঙ্গে মিলেমিশে আনন্দ করার দিন। দুর্গাপুজো বাঙালি হিন্দুদের মনের অত্যন্ত কাছের একটা উৎসব। এই সময় মায়ের আরাধনা করার সঙ্গে সঙ্গে যদি বিশেষ কিছু টোটকা পালন করা যায়, তা হলে মা তাঁর সন্তানদের উপর আরও বেশি প্রসন্ন হন। জ্যোতিষমতে এই সময় করা যে কোনও টোটকা খুব বেশি ফলদায়ী হয়।
টোটকা:
১) দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন একটি ছোট কলাগাছ বাড়ির যে কোনও স্থানে লাগান অথবা টবেও লাগাতে পারেন। তার পর সেই কলাগাছটিকে পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো করুন। কলাগাছে সাতটা করে হলুদ এবং সিঁদুরের ফোটা লাগান। নিজের সাধ্যমতো নৈবেদ্য, ধূপ ও দীপ দিয়ে পুজো করুন। এতে সংসারে শ্রীবৃদ্ধির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি হবে।
২) দুর্গাপুজোর পাঁচ দিন সন্ধ্যাবেলা করে বাড়িতে অবশ্যই নিয়মিত কর্পূর জ্বালুন। অষ্টমীর দিন পুজো দেওয়ার সময় মা দুর্গার সামনে কর্পূর জ্বালুন।
৩) বাস্তুদোষ দূর করতে ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যাবেলা একটা ছোট পাত্রে দুটো লবঙ্গ এবং কিছুটা কর্পূর নিয়ে একসঙ্গে জ্বালিয়ে দিন। তার পর যে ছাই হবে সেটা বাড়ির বাইরে ফেলে দিন।
৪) পুজোর পাঁচ দিন যদি সম্ভব হয়, একটা মাটির প্রদীপ ঘি দিয়ে জ্বেলে মায়ের আরতি করুন। তবে এই ক্রিয়া সকাল বা সন্ধ্যা, যে কোনও সময় করা যেতে পারে। আরতি করার সময় মনে মনে নিজের ইচ্ছার কথা মাকে জানান।
৫) মায়ের পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার সময় পদ্মফুল এবং অপরাজিতা ফুল অবশ্যই অর্পণ করুন।
৬) বাড়িতে যদি বাচ্চা থাকে তা হলে ষষ্ঠীর দিন সকালে স্নান সেরে তাকে অবশ্যই একটা নতুন বস্ত্র পরান।
৭) পুজোর এই কয়েক দিন বাড়িতে অতিথি আসলে তাঁকে অবশ্যই কিছু না কিছু খেতে দেবেন। খালি মুখে ফেরাবেন না।