ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
দুর্গাপুজোয় আমরা যেমন নিজেদের সাজাই, তেমনই সাজাই ঘরকে। বহু মানুষই পুজোর আগে ঘরকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলেন। এরই সঙ্গে পুরনো জিনিসপত্র বাড়ি থেকে বার করে দেন। আগেই বলা হয়েছে যে, বাতিল জিনিস ঘরে জমিয়ে রাখতে নেই। এতে বাস্তুর অকল্যাণ হয়। বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ বেড়ে যায়। সে রকমই ঘর সাজানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ কিছু ব্যাপার মাথায় রাখা আবশ্যিক। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটির খোঁজ দিলেন জ্যোতিষী।
পুজোর আগে ঘর সাজাতে কী কী ব্যাপার মাথায় রাখবেন?
১. সদর দরজা দিয়ে আমাদের ঘরে পজ়িটিভ শক্তি প্রবেশ করে বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই সদর দরজার সামনেটা অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। সেখানে জুতো রাখা যাবে না। সেটির সামনে পাতা পাপোশটিও যাতে পরিষ্কার হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
২. পুজোর ক’দিন হলুদের মিশ্রণ বানিয়ে সদর দরজার পাশে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে পারেন। এতে বাড়িতে শুভ শক্তির সঞ্চার হবে। এরই সঙ্গে সদর দরজার উপরে আমপাতা দিয়ে তৈরি তোরণ ঝোলাতে পারেন।
৩. দেবীপক্ষ শুরুর পর বাড়ির ঝুল ঝাড়া উচিত নয় বলে মনে করা হয়। সে ক্ষেত্রে মহালয়ার আগেই ঘর পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। বাড়ির কোনও কোনায় যাতে এক ফোঁটাও ঝুল না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে কোনও স্থানে ধুলো-ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না। নোংরা ঘরবাড়ি মেয়ে লক্ষ্মীর সঙ্গে সঙ্গে মা দুর্গারও মোটেই পছন্দ নয়।
৪. ঘরবাড়ি ভাল করে গুছিয়ে রাখা আবশ্যিক। অগোছালো রাখা চলবে না। সব কিছু সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে হবে।
৫. এই সময় চেষ্টা করবেন হালকা রঙের, যেমন- হলুদ, ঘিয়ে, আকাশি প্রভৃতি রঙের পর্দা লাগাতে। বিছানার চাদরও হালকা রঙের বেছে নিলে ভাল হয়। বাড়িতে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দেবীও তুষ্ট হন।
৬. দেবীপক্ষের ক’দিন বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে পারেন।
৭. এই সময় বাড়িতে যদি মা দুর্গার ছবি ঝোলানোর কথা ভাবেন, তা হলে উত্তর-পূর্ব দিকের দেওয়ালটি বেছে নিতে পারেন।