—প্রতীকী ছবি।
২৭ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার ছটপুজো। বিহারে আড়ম্বরের সঙ্গে এই পুজো পালিত হয়। যদিও বর্তমান সময়ে অন্যান্য স্থানেও এই পুজো করা হয়ে থাকে। কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষে এই পুজো করা হয়। মূলত সূর্যদেব ও ছটি মায়ের উদ্দেশে এই ব্রত পালন করা হয়। ছটপুজোয় কোনও মূর্তিকে পুজো করা হয় না। এই পুজো বছরে দু’বার পালিত হয়। এক বার চৈত্র মাসে এবং দ্বিতীয় বার কার্তিক মাসে। সংসার, সন্তান এবং পারিবারিক সুখ-সমৃদ্ধির জন্য ছটপুজো করা হয়। এই পুজোয় নারী-পুরুষ উভয়েই সমান ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
এই পুজোয় টানা ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপবাস রাখার চল রয়েছে। ছটপুজোর প্রথম দিন সন্ধ্যায় এবং পরের দিন ভোরবেলা সূর্যদেবকে জল অর্পণ করতে হয়। জ্যোতিষমতে কিছু টোটকা রয়েছে তা যদি এই দিন সঠিক ভাবে পালন করা হয়, তা হলে সূর্যদেবের কৃপা খুব সহজেই লাভ করা যায়।
টোটকা:
১) ছটপুজোর দু’দিন সন্ধ্যাবেলা এবং ভোরবেলা উপবাস রেখে সূর্যদেবকে পুজো করতে আসা জাতক-জাতিকাদের হাতে থাকা ডালার দুধ ও গঙ্গাজল মিশিয়ে অর্পণ করুন। এতে সূর্যদেবের কৃপা লাভ করবেন। তবে এই ক্রিয়া করতে হলে অবশ্যই নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হবে।
২) যাঁরা উপবাস রাখেন তাঁদের কলা, বাতাবি লেবু, নারকেল, আখ ও পানিফল দিয়ে সেগুলিকে পুজোর কাজে ব্যবহার করতে বলুন।
৩) ছটপুজোর দিন নিজের হাতে বানিয়ে সূর্যদেবকে নৈবেদ্য দিতে পারলে খুব ভাল হয়। তবে নৈবেদ্যটি মাটির উনুনে বানাতে হবে। গ্যাস অভেনে বানাতে হলে সেটিকে ভাল করে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে নিয়ে তার পর আমিষের ছোঁয়া নেই এমন বাসনে রান্না করতে হবে।
৪) এই দিন গঙ্গায় গোটা নিখুঁত নারকেল, কিছুটা গম এবং গুড় ভাসিয়ে দিন।
৫) এই দিন সন্ধ্যাবেলা অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন এবং মনস্কামনা জানান। সেটি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।