কেতু একটি গাণিতিক বিন্দু হলেও
জ্যোতিষশাস্ত্রে এটিকে গ্রহ হিসাবেই গণ্য করা হয়। আর মানবজীবনে এর ভূমিকাও বিশেষ।
যে কোনও গ্রহের প্রভাবে আমরা যেমন উন্নতির শীর্ষে পৌঁছোতে পারি, তেমনই আবার সর্বহারাও হয়ে যেতে পারি। কেতুর প্রভাবও আমাদের
জীবনে অনেকটা সে রকমই। কোষ্ঠীতে কেতু খারাপ অবস্থানে থাকলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
খারাপ সময় পিছু ছাড়তে চায় না। যে কোনও কাজে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তবে এর থেকে
মুক্তি পাওয়ার উপায় রয়েছে। সেগুলি সঠিক উপায়ে পালন করলে কেতুর কুপ্রভাব থেকে
মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কী কী উপায় মানতে হবে?
- কেতুর কুপ্রভাব এড়াতে নিয়মমাফিক জীবন
কাটাতে হবে। নেশাভান থেকে দূরে থাকতে হবে। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করা যাবে না।
- রাগ কমাতে হবে। মেজাজের উপর নিয়ন্ত্রণ
রাখা জরুরি। আপনি যত চটবেন, কেতুর খারাপ প্রভাব
আপনার উপর ততোধিক জাঁকিয়ে বসবে।
- যে কোনও কুকুরকে নিয়মিত রুটি খাওয়ান।
এতে কেতুর কুপ্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। বাড়িতে কুকুর পুষতে পারলে খুবই
ভাল হয়।
- গণেশ, হনুমানজি এবং শনিদেবের পুজো করুন। বিশেষ করে মঙ্গলবার হনুমানজির, বুধবার সিদ্ধিদাতা গণেশের এবং শনিবার শনিদেবের আরাধনা করলে
খুব ভাল ফল লাভ হবে।
- প্রতি দিন সন্ধ্যাবেলা ঠাকুরের স্থানে ঘিয়ের
প্রদীপ জ্বালাতে হবে। এতে কেতুর কুপ্রভাব থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যাবে।
- ক্যাটস্ আই পঞ্চধাতুর আংটিতে লাগিয়ে
কনিষ্ঠ আঙ্গুলে ধারণ করতে হবে। তবে এটি ধারণের আগে জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া জরুরি। মন চাইলেই কোনও রত্ন ধারণ করে নেওয়া যায় না।
- অভাবীদের সাধ্যমতো দান করতে পারলে খুব
ভাল হয়।