Offering Water To Sun

যেনতেন প্রকারে সূর্যকে জল নিবেদন করলে হবে না, সঠিক নিয়ম মেনে জল অর্পণ করতে হবে, তা হলেই সুফল মিলবে

অনেকেই প্রতি দিন সকালবেলা সূর্যকে জল নিবেদন করে থাকেন। এতে ভাগ্যের উন্নতি হয়। যদিও সঠিক উপায়ে জল অর্পণ করলে তবেই সেই জল সূর্যদেব গ্রহণ করেন। না হলে করেন না।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:২৭
Share:

ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।

হিন্দুশাস্ত্রে সূর্যকে দেবতা হিসাবে পুজো করা হয়। সূর্যদেবের মাহাত্ম্য বিশেষ। তাঁর কৃপায় জীবনের নানা কঠিন পরিস্থিতি সহজে পার করে ফেলা যায়। অনেকেই প্রতি দিন সকালবেলা সূর্যকে জল নিবেদন করে থাকেন। এতে ভাগ্যের উন্নতি হয়। যদিও সঠিক উপায়ে জল অর্পণ করলে তবেই সেই জল সূর্যদেব গ্রহণ করেন। না হলে করেন না। সূর্যকে জল নিবেদন করার বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি সঠিক উপায়ে মেনে জল অর্পণ করলে সূর্যদেব খুশি হন, নচেৎ হন না। নিয়মগুলি জেনে নিন।

Advertisement

সূর্যকে জল নিবেদন করার উপায়:

  • সূর্যোদয় হওয়ার আগে সূর্যকে জল নিবেদন করতে হবে। এই সময়টি সূর্যপ্রণাম করার জন্য শ্রেষ্ঠ। একদম কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে সূর্যদেবের উদ্দেশে জল অর্পণ করতে পারলে খুব ভাল হয়।
Advertisement
  • সূর্যপ্রণাম করার সময় পায়ে জুতো রাখা যাবে না। খালি পায়ে দাঁড়িয়ে এই পবিত্র কাজ করতে হবে।
  • সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে, অর্থাৎ পূর্ব দিকে মুখ করে সূর্যের উদ্দেশ্যে জল অর্পণ করতে হবে।
  • বাসি জামাকাপড়ে এই কাজ করা যাবে না। শুদ্ধ বসন পরতে হবে। ছেলেরা ধুতি পরে গায়ে পরিষ্কার গামছা রেখে এই কাজ করতে পারলে খুব ভাল হয়। তবে যে কোনও কাচাধোয়া জামা পরেই সূর্যপ্রণাম করা যেতে পারে।
  • তামার পাত্র বা ঘটিতে জল নিয়ে সূর্যকে জল নিবেদন করতে হবে। স্টিলের পাত্র ব্যবহার না করাই ভাল। জলে কয়েকটা ফুল দিতে পারলে খুব ভাল হয়।
  • যে হেতু ব্রাহ্মমুহূর্তে এই কাজ করা হয়, অর্থাৎ ঠিক সূর্য ওঠার সময় বা তার আগে, তাই সূর্যপ্রণাম হয়ে যাওয়ার পর গায়ে সূর্যের প্রথম আলো লাগাতে পারলে খুব ভাল হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এতে সূর্যের আশীর্বাদ লাভ হয়।

সূর্যকে জল নিবেদনের উপকারিতাগুলি কী কী?

  • যে সকল ব্যক্তির রাগ, জেদ, অহংবোধ বেশি, তাঁদের নিয়মিত সূর্যপ্রণাম করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে সকল প্রকার নেগেটিভ অনুভূতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • কোষ্ঠীতে থাকা গ্রহের দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এরই সঙ্গে দুর্বল গ্রহও শক্তিশালী হয়।
  • মনোবাসনা পূরণ হয়। একই সঙ্গে অর্থকষ্ট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। জীবনে কোনও অভাব থাকে না।
  • কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যে কোনও ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করা যায়। কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement