Face Reading Astrology

মুখের গড়নে ফুটে ওঠে চরিত্রের গঠন, মুখ পড়েই বলে দেওয়া যায় কে কেমন মানুষ! কী ভাবে? খোঁজ দিলেন জ্যোতিষী

এক জন ব্যক্তির মুখের নানা অভিব্যক্তি ঠিকমতো খেয়াল করলেই বলে দেওয়া যায় নির্দিষ্ট সময়ে তিনি কী ভাবছেন বা তাঁর মনের ভিতর কী ঘুরে বেড়াচ্ছে। শাস্ত্র বলছে, এক জন মানুষ কেমন প্রকৃতির সেটাও উক্ত মানুষের মুখের গঠন দেখে বলে দেওয়া সম্ভব।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৫৭
Share:

ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।

কথায় বলে, মানুষের মুখই তাঁর মনের আয়না। অর্থাৎ, এক জন মানুষের মনে কী চলছে সেটা তাঁর মুখ পড়েই বলে দেওয়া যায়। এক জন ব্যক্তির মুখের নানা অভিব্যক্তি ঠিক করে খেয়াল করলেই বলে দেওয়া যায় নির্দিষ্ট সময়ে তিনি কী ভাবছেন বা তাঁর মনের ভিতর কী ঘুরে বেড়াচ্ছে। শাস্ত্র বলছে, এক জন মানুষ কেমন প্রকৃতির সেটাও উক্ত মানুষের মুখের গঠন দেখে বলে দেওয়া সম্ভব। জেনে নিন কী ভাবে।

Advertisement

মুখে দেখে মানুষ চেনার উপায়:

বিভিন্ন অঙ্গের সমাহারে আমাদের মুখমণ্ডল গঠিত। সেগুলিকে ঠিক করে পড়তে জানলেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির সম্বন্ধে নানা গোপন তথ্য বলে দেওয়া সম্ভব হবে। পড়ার কায়দা জেনে নিন।

Advertisement

চোখ: মুখমণ্ডলের সবথেকে আকর্ষণীয় অংশ হল চোখ। এক জন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাধারণত সবার প্রথমে তাঁর চোখের দিকেই আমাদের নজর যায়।

  • শাস্ত্র বলছে, যে সকল মানুষের চোখের মণি কালো রঙের হয়, তাঁরা গোপনীয়তা পছন্দ করেন। এঁরা যা জানেন, তাঁর সবটাই কখনও বলে দেন না। কথা মনের মধ্যে রেখে দেওয়ার ব্যাপারে এঁরা পারদর্শী।
  • অন্য দিকে, বাদামি চোখের মণির ব্যক্তিরা স্বাধীনচেতা প্রকৃতির হন। এঁরা নিজের কাজ নিজেই করতে ভালবাসেন। সৃজনশীল কাজে এঁরা পটু।
  • সবুজ চোখের মানুষেরা মনের দিক থেকে খুব ভাল হন। এঁরা ঝগড়া-অশান্তি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পছন্দ করেন।
  • ছাইরঙা মণির ব্যক্তিরা সহজে ভেঙে পড়েন না। এঁরা অত্যন্ত কর্মঠ হন। যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারেন।
  • নীল চোখের ব্যক্তিরা সাহসী প্রকৃতির হন। এঁরা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ভাবেন না, অপরের দরকারে সর্বদা ঝাঁপিয়ে পড়েন।

ভ্রু: চোখের উপরে থাকা ভ্রুর আকার দেখেও অনেক কিছু বলে দেওয়া যায়।

  • চওড়া ভ্রুর জাতক-জাতিকারা সর্বদা নতুন কিছু শেখা ও জানার বিষয়ে আগ্রহী হন। এঁরা জ্ঞান সংগ্রহ করতে খুব পছন্দ করেন।
  • সরু ভ্রুর জাতক-জাতিকারা লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে চলেন। এঁরা খুব ভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ঠোঁট: শাস্ত্র জানাচ্ছে, এক জন ব্যক্তির ঠোঁট দেখে বলা যায় যে তিনি কেমন প্রকৃতির প্রেমিক-প্রেমিকা হবেন।

  • যে সকল মানুষের ঠোঁট মোটা ধরনের হয়, তাঁরা যে কোনও কথা মুখের উপর বলতে ভালবাসেন। এঁরা লোকের পিছনে কথা বলতে পছন্দ করেন না। এঁরা মনের মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পছন্দ করেন।
  • সরু ঠোঁটের জাতক-জাতিকারা মুখ ফুটে কিছু বলেন না। এঁরা চান ভালবাসার মানুষ যেন এঁদের মনে কী চলছে সেটা নিজে থেকেই বুঝে নেন। কোনও বিষয়ে খারাপ লাগলেও সেটা এঁরা নিজে থেকে বলেন না।

নাক: তীক্ষ্ণ নাকের ব্যক্তিরা অহঙ্কারী হন। এঁরা নিজেদের সবজান্তা মনে করেন। তবে এঁদের ধৈর্য হয় মারাত্মক। এঁদের সহজে লক্ষ্যভ্রষ্ট করা যায় না।

  • ভোঁতা নাকের জাতক-জাতিকারা নিজের ছন্দে জীবন কাটাতে ভালবাসেন। এঁরা লোকের বিচার করেন না। খুব দিলখোলা প্রকৃতির হন। হিংসা করা কাকে বলে জানেন না। অপরের ভালতে এঁরা আনন্দ পান।

কপাল: যে ব্যক্তির কপালে যত বেশি দাগ দেখা যায়, তাঁকে তত বেশি বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এরই সঙ্গে যাঁর কপাল যত বেশি চওড়া হয়, তাঁর প্রাপ্তিভাগ্য তত ভাল হয় বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র।

চিবুক: এক জন মানুষের চিবুকও তাঁর সম্বন্ধে অনেক কিছু বলে দেয়।

  • লম্বা চিবুক যাঁদের হয় তাঁরা খুব জেদি হন। এঁরা অল্পেই রেগে যান। এঁদের চাহিদাও হয় অন্যদের তুলনায় বেশি।
  • ছোট চিবুকের ব্যক্তিদের মন খুব নরম হয়। তবে এঁরা আলসেমি করে দিন কাটাতে পছন্দ করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement