—প্রতীকী ছবি।
রাহু-কেতু গাণিতিক বিন্দু বা নোড হলেও জ্যোতিষশাস্ত্রে তাদের গুরুত্ব অপরিসীম। রাহু উত্তর এবং কেতু দক্ষিণ গাণিতিক বিন্দু। শাস্ত্রমতে, রাহু এবং কেতুর প্রভাব এতটাই যে রাহু-কেতুর শারীরিক অস্তিত্ব না থাকলেও রাহু-কেতুকে গ্রহের মতোই গুরুত্ব দিয়ে ছায়াগ্রহ বলা হয়। ধীর গতির গ্রহ হিসাবে শনির পরেই রাহু-কেতুর স্থান। রাহু-কেতু এক এক রাশিতে কমবেশি এক বছর ছয় মাস অবস্থান করে। রাহু-কেতু সর্বদা সম-সপ্তমে (রাহুর সপ্তমে কেতু) অবস্থানের কারণে রাশি পরিবর্তনও একই সঙ্গে, একই সময়ে করে।
গত ১৮ মে, ভারতীয় সময় রাত ৭টা ৩৬ মিনিটে রাশি পরিবর্তন করে রাহু কুম্ভ রাশিতে এবং কেতু সিংহ রাশিতে গমন করেছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত তারা একই ক্ষেত্রে অবস্থান করবে। আগামী ৫ ডিসেম্বর ২০২৬, ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৩৩ মিনিটে রাহু-কেতু পুনরায় রাশি পরিবর্তন করবে। সেই সময় রাহু মকর এবং কেতু কর্কট রাশিতে গমন করবে।
গ্রহের স্থান পরিবর্তন প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক ঘটনা হলেও প্রত্যেক গ্রহের স্থান পরিবর্তনে মানুষের জীবনে যেমন শুভ বা অশুভ প্রভাব পড়ে, তেমনই প্রভাব পড়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ের উপর। ২০২৫-এ চারটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ রাশি পরিবর্তন করেছে। এই বছর মঙ্গলের প্রভাবের বছর। রাহু-কেতুর রাশি পরিবর্তন এবং অন্যান্য গ্রহের অবস্থান অনুযায়ী রাষ্ট্রের উপর কেমন কী প্রভাব পড়তে পারে জেনে নিন।
· ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত, বজ্রপাত, অগ্নিকাণ্ড (বিশেষত বিদ্যুতের কারণে) এবং দুর্ঘটনা বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবিকের তুলনায় গরম বৃদ্ধি পাবে।
· প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে রাষ্ট্রের এবং প্রশাসকের চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
· রাজনৈতিক মতবিরোধ স্বাভাবিক হলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক মতবিরোধ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তা চূড়ান্ত আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। জঙ্গিহানার আশঙ্কা রয়েছে। অপ্রত্যাশিত হঠকারী প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং শীঘ্র বলবৎ হতে পারে।
· রাষ্ট্রীয় সুসিদ্ধান্তের কারণে দেশের গৌরব বৃদ্ধি পেতে পারে। খেলাধুলায় দেশের গৌরব বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থাবর সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি ঘটতে পারে। ওষুধ এবং রাসায়নিক শিল্পের নতুন আবিষ্কার বা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। নক্ষত্রপতন, বিশেষত কোনও রাষ্ট্রনেতার জীবনাবসান দেশবাসীকে দুঃখ দিতে পারে।