—প্রতীকী ছবি।
ভূত চতুর্দশীর আগের দিন চোদ্দ শাক খাওয়ার প্রথা বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে রয়েছে। এই দিন চোদ্দ প্রদীপ দেওয়ারও রেওয়াজ রয়েছে। চোদ্দ শাক খাওয়াটা এই মরসুমে খুবই উপকারী এবং শরীর শুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে। এখন প্রশ্ন হল এই দিন কি চোদ্দ শাক খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরামিষ আহারও গ্রহণ করতে হয়। এ ছাড়া এই দিন আর কী কী টোটকা পালন করা যেতে পারে দেখে নিন।
ভূত চতুর্দশীর দিন কি নিরামিষ খাবার খেতে হয়?
এই দিন অবশ্যই নিরামিষ খাবার খেতে হয়। কারণ এই দিনটা কালীপুজোর আগের দিন এবং অত্যন্ত শুভ দিন। তাই এই দিন নিরামিষ খাবার খাওয়াই উচিত। চোদ্দ শাক খাওয়ার সঙ্গে নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়াও এই দিন আমরা পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালাই। এই কাজটি নিরামিষ আহার গ্রহণ করে করা উচিত। সঠিক নিয়মের মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে প্রদীপ দান করলে তবেই তাঁদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
টোটকা:
১) এই দিন বাড়ির সদর দরজার উপরে ঘোড়ার নাল লাগালে ঘর থেকে অশুভ শক্তি দূর হয়।
২) এই দিন বাড়ির সদর দরজার দু’পাশে তুলসীগাছ এবং গাঁদাগাছ লাগানো খুব শুভ বলে মানা হয়।
৩) ভূত চতুর্দশীর দিন হনুমানজীর পুজো করতে পারলে খুবই ভাল হয়।
৪) এই দিন বাড়ির দরজার উপর স্বস্তিক অঙ্কন করতে পারেন। বাড়িতে শুভ শক্তির সঞ্চার ঘটবে।