ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
হিন্দু ধর্মে তুলসীগাছ অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ। হিন্দু ধর্ম মতে, তুলসীগাছ হল নারায়ণের রূপ। অন্য দিকে, শাস্ত্রে আবার এই গাছকে স্বয়ং লক্ষ্মী মনে করা হয়। হাতেগোনা কিছু হিন্দু দেবতা ছাড়া বাকি প্রায় সকলের পুজোর কাজই তুলসীপাতা বিনা অসম্পূর্ণ। যে কোনও শুভ কাজেও এই পাতার ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে এই গাছ রাখার নিদান দেয় শাস্ত্র। দু’বেলা এই গাছকে পুজো করলে ও গাছের গোড়ায় প্রদীপ জ্বালালে নানা দিক থেকে সুফল প্রাপ্তি ঘটে। তবে তুলসীপাতা ছেঁড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ভুল করলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা যায়। কোন ভুলগুলি করা যাবে না দেখে নিন।
তুলসীপাতা তোলার সময় কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে?
১. অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে তুলসীপাতা ছেঁড়া তো দূরের কথা, সেই গাছে হাতও দিতে নেই। এ ছাড়া গ্রহণের দিন, সংক্রান্তি, একাদশী ও দ্বাদশীর দিনও তুলসীপাতা ছিঁড়তে নেই। একাদশীর দিন তুলসীগাছে জলও না দেওয়াই ভাল হবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
২. তবে বিশেষ তিথিগুলি ছাড়াও রবিবার করে তুলসীগাছ থেকে পাতা না ছেঁড়াই উচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দিনও এই গাছে জল দেওয়া ঠিক নয়। এতে বাস্তুর অমঙ্গল হতে পারে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবারও তুলসীগাছে হাত দেওয়া উচিত নয়। তুলসী যে হেতু বজরংবলীর অত্যন্ত প্রিয় জিনিস তাই মঙ্গলবার সেই গাছ থেকে পাতা না ছেঁড়াই উচিত কাজ হবে। অন্য দিকে, তুলসীর সঙ্গে যে হেতু মা লক্ষ্মী সম্পর্কিত, তাই বৃহস্পতিবারও তুলসীপাতা ছেঁড়া উচিত নয়।
৩. তুলসীপাতা তোলার আগে গাছটিকে এক বার নাড়িয়ে নেওয়া উচিত। যে হেতু তাকে নারায়ণের রূপ গণ্য করা হয়, তাই সেখান থেকে পাতা ছেঁড়ার আগে তাকে এক বার জানিয়ে নিয়ে তার পর সেটি থেকে পাতা ছেঁড়ার কথা বলা হয়। এই কারণে পাতা তোলার আগে গাছটিকে নাড়িয়ে নিতে হবে।
৪. তুলসীপাতা কখনও নখের সাহায্যে ছেঁড়া যাবে না। আলতো হাতে, আঙুলের মাথার সাহায্যে তুলসীপাতা তুলতে হবে। গায়ের জোর দিয়ে, যেমন-তেমন ভাবে এই পাতা ছিঁড়লে দুর্ভোগ নেমে আসবে।
৫. স্নান না করে তুলসীগাছে হাত দেওয়া বা সেই গাছ থেকে পাতা ছেঁড়া উচিত নয়। স্নান করার পর শুদ্ধ বসন পরিধান করে এই গাছ থেকে পাতা তুলতে হবে।