Rituals of Jamai Sasthi

জোড় সংখ্যার ফল ‘নৈব নৈব চ’, কিন্তু তালপাতার পাখা ‘মাস্ট’! জামাইষষ্ঠীতে যে সব নিয়ম না মানলে ঘোর বিপদ

শাশুড়ি মায়েরা সন্তানতুল্য জামাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে জামাইষষ্ঠীর ব্রত পালন করে থাকেন। এরই সঙ্গে নিজের কন্যাসন্তানের জন্যও তাঁরা শুভকামনা করেন।

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ ০৭:৪৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

১ জুন ২০২৫, রবিবার জামাইষষ্ঠী। জামাইষষ্ঠী বাঙালি হিন্দুদের একটি অতি জনপ্রিয় উৎসব। এই উৎসব শাশুড়ি মায়েরা পালন করে থাকেন জামাইয়ের জন্য। শাশুড়ি মায়েরা সন্তানতুল্য জামাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে এই ব্রত পালন করে থাকেন। এরই সঙ্গে নিজের কন্যাসন্তানের জন্যও তাঁরা শুভকামনা করেন। এই দিন শাশুড়ি মায়ের স্নেহ-আদরে ভরে থাকে সকল জামাইয়ের দিন। জামাইষষ্ঠী পালনের বিশেষ কিছু নিয়ম থাকে, যা করলে মেয়ে-জামাই খুবই সুখী হন।

Advertisement

দেখে নেব কী নিয়ম রয়েছে:

জামাইষষ্ঠীর সব নিয়মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিয়ম হল জামাইকে তালপাতার পাখার বাতাস দেওয়া। একটা তালপাতার তৈরি নতুন পাখা নিতে হবে, পাখাটা অবশ্যই তালপাতার নিতে হবে, অন্য কোনও পাখা চলবে না। সেটিকে পুজোর অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে রেখে পুজো করতে হবে। ১০৮টি দূর্বা, পাঁচ, সাত অথবা নয় রকমের (বিজোড় সংখ্যার) ফল, ফুল ও মিষ্টি সহকারে মা ষষ্ঠীর পুজো দিতে হবে। তার পর জামাইকে আসনে বসিয়ে, বরণ করে নিয়ে, কপালে দইয়ের ফোঁটা দিতে হবে। জামাইকে ধান ও দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করতে হবে। তার পর তালপাতার পাখাটা জলে ভিজিয়ে নিয়ে শাশুড়ি মা জামাইকে হাওয়া দেবেন আর সঙ্গে তিন বার ‘ষাট ষাট ষাট’ বলবেন। এর অর্থ হল জামাই ও মেয়ের জীবনে যেন কোনও বিপদ না আসে, সেই কামনা করা। তাঁরা যেন দীর্ঘায়ু লাভ করেন এবং সুখে-শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারেন। তবে এই দিন পুজো শেষ না হওয়া অবধি শাশুড়ি মাকে উপবাস রাখতে হবে। মেয়ে-জামাইয়ের সম্পর্কের বন্ধন অটুট রাখার লক্ষ্যে এই দিন জামাইয়ের হাতে হলুদ এবং তেল মাখানো দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। তার পর পুজোর শেষে জামাইকে যত্ন করে খাওয়ানো হয় এবং নানা উপহার দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement