—প্রতীকী ছবি।
প্রায় সব মানুষই তাঁদের সঙ্গে খারাপ কিছু না কিছু ঘটেই চললে অতীত জীবনকে দুষতে শুরু করেন। কোন জন্মের পাপের ফল এই জন্মে ভোগ করতে হচ্ছে, এমন কথা বলে দুঃখপ্রকাশ করেন। পুর্নজন্ম বিষয়টি বিজ্ঞানের ভাষায় তর্কসাপেক্ষ। কিন্তু শাস্ত্রের ভাষায় সেটির অস্তিত্ব রয়েছে। শাস্ত্র জানাচ্ছে, প্রত্যেক মানুষই অতীতে কখনও না কখনও মানুষ হিসাবে পৃথিবীতে এসেছিলেন। সেই সময় তাঁরা যদি কোনও ভুল করে থাকেন ও সেই সময় তার উপযুক্ত ফল ভোগ করে না থাকলে পরবর্তী জন্মে এসে তাঁকে ভুল কাজের ফল ভোগ করতেই হবে। এটাই নিয়তি। কিন্তু এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও রয়েছে। বিশেষ কিছু উপায় মেনে চললে অতীত জীবনে করা ভুলের ভাগীদার হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব।
টোটকা:
১. প্রতি দিন স্নানের পর শুদ্ধ বসন পরে একমনে ঠাকুরের নাম জপ করতে হবে। এরই সঙ্গে মন্ত্রপাঠ করতে পারলে খুবই ভাল হয়। মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র বা বিষ্ণুর মন্ত্র পাঠ করা যেতে পারে।
২. গত জন্মে করা পাপ কাজের দায়ভার এই জন্মে ভাল কাজ করে কমানো যেতে পারে। তাই আশপাশের মানুষজন ও পশুপাখির প্রতি সহমর্মী হন। অপরের সমালোচনা, তাঁদের খারাপ করা থেকে বিরত থাকুন। দরকারে অপরের পাশে দাঁড়ান ও সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করুন। বিশেষ দিন দেখে দুঃস্থ ব্যক্তিদের ইচ্ছামতো কিছু দান করতে পারেন।
৩. একাদশী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমার দিনগুলিতে উপবাস রাখতে পারেন বা নিরামিষ আহার গ্রহণ করা যেতে পারে। এই দিনগুলো কেনও প্রকার নেশা করা এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. বর্তমানে যদি এমন কোনও কাজ করে থাকেন যা করা উচিত নয়, তা হলে সেটি অস্বীকার না করে স্বীকার করে নিন। ভুল মানুষ মাত্রেই হয়। কিন্তু সেটিকে অস্বীকার করা বা দায়ভার না নেওয়া উচিত কাজ নয়। এতে পূর্বজন্মে করা ভুলের খারাপ প্রভাবের পরিমাণ বাড়বে বই কমবে না। নিজের ভুল এড়িয়ে না গিয়ে সেটিকে মানুন এবং কী করলে শোধরানো যাবে সে বিষয়ে মাথা খাটান।
৫. শান্তিময় জীবন কাটান। ধ্যান করুন, আধ্যাত্মিক চিন্তায় মনোনিবেশ করুন। রাগ, দম্ভ প্রভৃতি নেগেটিভ অনুভূতি সম্পূর্ণ বর্জন করুন।