ছবি: মেটা এআই।
ভক্তের অপার ভক্তিতেই তুষ্ট দেবাদিদেব মহাদেব। তাঁকে সন্তুষ্ট করতে সামান্য উপচার ও মন্ত্রই যথেষ্ট। অল্পেতেই ভক্তের উপর তুষ্ট হন ভোলানাথ। নিষ্ঠাভরে দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো-অর্চনা করলে তিনি ভক্তের ডাকে সাড়া দেন৷ হিন্দুশাস্ত্র ও জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী শিবের পুজো করলে ব্যক্তি শীঘ্র আরোগ্য ও সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করে। হিন্দুশাস্ত্রে লক্ষ্মীদেবীকে ধনসম্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলে আরাধনা করা হলেও শিবের একটি স্তোত্রের জোরে করায়ত্ত করা যায় সম্পদ। দিনে মাত্র এক বার স্তোত্রটি পাঠ করলে কেটে যায় আর্থিক দুর্দশা।
যাঁরা অর্থকষ্টে ভুগছেন বা টাকাপয়সা চোট গিয়েছে তাঁরা মহাদেবের শরণ নিলে কেটে যাবে আর্থিক দুর্ভাগ্যের কালো মেঘ। কষ্ট না করেই দরিদ্রতা কাটাবার জন্য জপ করতে হবে এই স্তোত্রটি। ভোলানাথের কৃপায় মানিব্যাগে উপচে পড়বে টাকা। যাঁদের প্রায়শই টাকা হারিয়ে যায় বা চুরি হয় তাঁরা এই স্তোত্রটি পাঠ করলে সুফল লাভ করতে পারবেন। অর্থের টানাপড়েন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দারিদ্র্য দহন শিবস্তোত্র পাঠ অত্যন্ত কার্যকরী। সোমবার এই স্তোত্র পাঠ করলে সংসার থেকে দারিদ্র দূর হয় ৷ পাশাপাশি সকল প্রকার আর্থিক বাধা দূর হয়৷ কেউ চাইলে প্রতি দিন এক বার করে পুরো স্তোত্রটি পাঠ করতে পারেন।
নিয়মবিধি: দারিদ্র্য দহন শিবস্তোত্র পাঠ করতে হলে সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্রে মাটিতে বসে তা করতে হবে। কোনও আসন ব্যবহার করা যাবে না। কেউ যদি বিকেলে পাঠ করতে চান তাতেও সমস্যা নেই। শুদ্ধাচারে, শুদ্ধচিত্তে শিবস্তোত্র পড়তে হবে। এর সঙ্গে প্রত্যেক সোমবার শিবের মাথায় জল ঢেলে প্রার্থনা করলে সুফল মিলবে। তার সঙ্গে কালো কুকুর বা কাক অথবা কালো কোনও জন্তুকে অন্নদান করলে স্তোত্রপাঠের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।