—প্রতীকী ছবি।
যাঁর নাম শুনলেই মানুষ আতঙ্কিত হন, তিনি হলেন শনি মহারাজ। শনির নামে আতঙ্কিত হওয়ার বেশ কিছু কারণও আছে। শাস্ত্রমতে শনি গ্রহকে অশুভ গ্রহ বলা হয়। যদিও শনি কেবলমাত্র অশুভ ফলদাতা গ্রহ নয়, শনির শুভ ফলে চূড়ান্ত সফলতা লাভ হয় এবং সেটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে অশুভ শনি রাজাকেও ভিখারি করতে পারে।
শনি সর্বাধিক ধীরগতি সম্পন্ন গ্রহ। শনি সূর্যের চারিদিকে পরিভ্রমণ করতে প্রায় ৩০ বছর সময় নেয়। এই হিসাবে মেষ থেকে মীন পর্যন্ত রাশিচক্র পরিভ্রমণ করতে শনি ৩০ বছর সময় নেয়। এক এক রাশিতে সময় নেয় কমবেশি আড়াই বছর। এই কারণে শুভ বা অশুভ ফল দান করে দীর্ঘ সময় ধরে।
শনি কর্মকারক। শনি শুধু কর্মদাতা নয়, কৃতকর্ম অনুযায়ী কর্মফল দান করে শনি। শনি ন্যায়বিচারক এবং ন্যায়পরায়ণ গ্রহ। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, শনি মারক গ্রহ নয়, শিক্ষক। শনি পরমযোগী, পরমত্যাগী, পরম পবিত্র, পরিশ্রমী এবং শৃঙ্খলাদাতা। মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং বিবেক জাগরণকারী গ্রহ হল শনি। যোগ, সাধনা, আধিভৌতিক বিষয়ের উপর শনির প্রভাব রয়েছে। শনি বিচ্ছিন্নকারী এবং একাকিত্বদায়ী গ্রহ।
লগ্ন বা রাশির সাপেক্ষে ১২টি স্থানের অধিকাংশ স্থানেই শনি অশুভ ফল দান করে। এই কারণে ৩০ বছরের অধিকাংশ সময় ধরে শনি অশুভ ফলই দান করে। সর্বাধিক প্রভাব প্রাপ্তি হয় শনির দশা, অন্তদশাকালে এবং সাড়েসাতিকালে। তবে তা কেবলই যে অশুভ তা নয়, অনেক ক্ষেত্রে খুবই শুভ ফল প্রাপ্তির প্রমাণও পাওয়া যায়। তবে অষ্টমে এবং চতুর্থে শনির অবস্থানকালে বিশেষ অশুভ প্রভাব প্রাপ্তি হয়।
শনির অশুভ প্রভাব নাশ বা হ্রাসের বিশেষ কিছু উপায়—