—প্রতীকী ছবি।
জ্যোতিষশাস্ত্রে সর্বাধিক শুভ গ্রহ হল বৃহস্পতি। শাস্ত্রমতে বৃহস্পতি দেবগুরু। গুরু যেমন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে পথ দেখান, বৃহস্পতির দৃষ্টি বা প্রভাবও তেমনই শুভ ফল প্রদান করে। এই কারণেই অন্যান্য গ্রহের তুলনায় বৃহস্পতির রাশি পরিবর্তন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রত্যেক গ্রহই নিজ কক্ষপথে ছুটছে প্রকৃতির নিয়মে। গ্রহদের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য মুনিঋষিগণ ১২টি রাশিরও নামকরণ করেন। দেবগুরু বৃহস্পতি নিজ কক্ষপথে এক পাক ঘুরতে সময় নেন কমবেশি বারো বছর। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই বারো বছর সময়কালকে ১২টি সমান ভাগে ভাগ করা হয়। এক একটি ভাগ হল ভিন্ন ভিন্ন রাশি। অর্থাৎ, এই বারো বছরে বৃহস্পতি ১২টি রাশি অতিক্রম করে। এক এক রাশিতে কমবেশি এক বছর অবস্থান করে। তবে সূর্য থেকে গ্রহের অবস্থান অনুযায়ী কখনও কখনও গ্রহদের বক্রগতি প্রাপ্ত মনে হয়। বক্রগতি প্রাপ্ত হলে হিসাব কমবেশি হয়। ঠিক এই কারণেই, অর্থাৎ বক্রগতি প্রাপ্তির কারণে আগামী ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ৫টা ২৭ মিনিটে বৃহস্পতি পুনরায় মিথুন রাশিতে প্রবেশ করবে। বৃহস্পতি গত ১৮ অক্টোবর ভারতীয় সময় রাত ৭টা ৪৭ মিনিটে রাশি পরিবর্তন করে মিথুন থেকে কর্কটে স্থান পরিবর্তন করেছিল। গত ১১ নভেম্বর ২০২৫-এ গতি পরিবর্তন করে বক্রগতি প্রাপ্ত হয়। বর্তমানে বৃহস্পতির বক্রগতিতে অবস্থান। আগামী ১০ মার্চ ২০২৬ পর্যন্ত বৃহস্পতি বক্রগতিতে অবস্থান করে ১১ মার্চ গতি পরিবর্তন করবে।
বৃহস্পতি আগামী ১ জুন ২০২৬ পর্যন্ত মিথুন রাশিতে অবস্থান করবে। ২ জুন রাত ১টা ৫০ মিনিটে পুনরায় কর্কট রাশিতে গমন করে ৩০ অক্টোবর ২০২৬ পর্যন্ত কর্কট রাশিতে অবস্থান করবে। ৩১ অক্টোবর ২০২৬, দুপুর ১২টা ২ মিনিটে রাশি পরিবর্তন করে সিংহ রাশিতে গমন করবে।
বৃহস্পতির রাশি পরিবর্তনের ফলে সব রাশির উপর প্রভাব পড়লেও বিশেষ প্রভাব পড়বে মিথুন, তুলা, ধনু এবং কুম্ভ রাশির উপর।