Astro Tips

ঘন ঘন মন্দিরে যাচ্ছেন তা-ও মনোবাসনা পূরণ হচ্ছে না? ‘ঈশ্বরের গৃহে’ সাত কাজ করা নিষিদ্ধ, করলে ফলপ্রাপ্তি ঘটে না

মন্দিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ভুল আমরা নিজেদের অজান্তেই করে ফেলি। এর ফলে পূর্ণ সুফল প্রাপ্ত হয় না। বদলে ভগবান আমাদের উপর রুষ্ট হন।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ১১:২৫
Share:

ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।

শাস্ত্রমতে, মন্দির হল ভগবানের বাসস্থান। হিন্দু ধর্মে মন্দিরকে অত্যন্ত পবিত্র জায়গা মনে করা হয়। প্রায় সকল হিন্দু বাড়ির ব্যক্তিরাই বছরে এক বার হলেও মন্দিরে যান। ঈশ্বরের কাছে মনোবাসনা জানিয়ে পুজো দিয়ে আসেন। বিশ্বাস করা হয় যে, মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরের কাছে শুদ্ধ মনে কিছু চাইলে তিনি সেটা আমাদের পাইয়ে দেন। তবে মন্দিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু ভুল আমরা নিজেদের অজান্তেই করে ফেলি। এর ফলে পূর্ণ সুফল প্রাপ্ত হয় না। বদলে ভগবান আমাদের উপর রুষ্ট হন। মন্দিরে যাওয়ার সময় কী কী ব্যাপার মাথায় রাখা আবশ্যিক জেনে নিন।

Advertisement
  • প্রায় সকল মানুষই মন্দিরে প্রবেশ করার সময় জুতো খুলে ঢোকেন। কিন্তু জুতোর সঙ্গে মোজা পরে থাকলেও সেটি অনেকে খোলেন না। মোজা পরে মন্দিরে ঢুকতে নেই। এই কাজটি করা উচিত নয়।
  • মন্দির পরিভ্রমণ করার সময় সর্বদা বাঁ দিক থেকে শুরু করতে হয়। বাঁ দিক দিয়ে যাত্রা শুরু করে ডান দিকে এসে থামতে হয়। উল্টোটা করা অনুচিত।
Advertisement
  • মন্দিরে কেউ যদি ভগবানকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন, তা হলে তাঁর পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া বা আশপাশে দাঁড়ানো উচিত নয়। এতে ভগবান অত্যন্ত রুষ্ট হন।
  • অনেকেই মন্দিরে ঢুকে একদম ঠাকুরের সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লাগেন। শাস্ত্র জানাচ্ছে এই কাজটি করা উচিত নয়। বিগ্রহের সামনে, তাঁর চোখে চোখ রেখে দাঁড়ানো ঠিক নয়।
  • মন্দির থেকে বেরিয়েই সঙ্গে সঙ্গে পা ধুয়ে ফেলা উচিত নয়। এতে ঠাকুর ক্ষুণ্ণ হন বলে মনে করা হয়। আপনার সঙ্গে আসা সমস্ত পজ়িটিভ শক্তিও ধুয়ে যায়।
  • মন্দিরের ঘণ্টা বাজানোর পর কিছু ক্ষণ সেটির নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে সরে যেতে নেই।
  • মন্দিরে বাইরে জুতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখতে নেই। গুছিয়ে একটি কোনায় রেখে দিতে হয় বা জুতো রাখার নির্দিষ্ট স্থানে রাখাই শ্রেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement