ছবি: ( এ আই সহায়তায় প্রণীত)।
বিয়ে হল দু’টি জীবনের অনন্য এক বন্ধন। প্রতিটি বিবাহিত মানুষের জীবনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দাম্পত্যজীবনে ওঠাপড়া স্বাভাবিক ঘটনা। অনেক উত্থান-পতন ও মিষ্টি-তিক্ত মুহূর্তের মুখোমুখি হতে হয় স্বামী-স্ত্রীকে। বিয়ের প্রথম দিকেও বিভিন্ন কারণে নবদম্পতির জীবনে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। আর জ্যোতিষমতে এর নেপথ্যকারণ হতে পারে বাস্তুদোষ।
অজান্তেই ঘরের ভিতরে কিছু ত্রুটি তৈরি হয়, যার ফলে সদ্যবিবাহিতদের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। সেই কারণে নতুন বিয়ে করেছেন যাঁরা বা সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন তাঁদের এই নিয়মগুলি মাথায় রেখে শোয়ার ঘরের অন্দরসজ্জা করতে হবে। সঠিক নিয়ম মেনে চললে এই বাধাগুলি সহজেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
১. ঘরের সঠিক অবস্থান: বিবাহিত দম্পতিদের বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম অংশে শোয়ার ঘর রাখা উচিত। উত্তর-পশ্চিম কোণকে বায়ুর দিক বলে ধরা হয়। ফলে সম্পর্কে গতি বাড়ে। আর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আনে। বৈবাহিক সম্পর্ক মজবুত হয়। দক্ষিণ-পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকের শোয়ার ঘর এড়িয়ে চলুন।
২. ঘরের রং: দাম্পত্য জীবনে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্য ঘরের রং হালকা রাখাই বাঞ্ছনীয়। সাদা, হলুদ, গোলাপি, হালকা সবুজ বা হালকা নীল রঙের ঘর হলে তা নবদম্পতির জন্য শুভ।
৩. খাট-বিছানার অবস্থান: যে খাটে ঘুমোন সেই খাটটিকে ঘরের মাঝবরাবর রাখাই শ্রেয়। যদি তা সম্ভব না হয় তবে খাটের দু’পাশে কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে। এর ফলে সম্পর্কে ভারসাম্য আসবে। বিছানার নীচে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা জঞ্জাল জমিয়ে রাখলে তিক্ততা বাড়বে দাম্পত্যে। বিছানার নীচে ধাতব কোনও বস্তু না রাখাই ভাল।
স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই একটি খাট ও একটি গদি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিভক্ত গদি বা জোড়া দেওয়া খাটে ঘুমোনো থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে দাম্পত্যে ফাটল দেখা দিতে পারে।
৪. সর্বদা দক্ষিণ দিকে মাথা এবং উত্তর দিকে পা রেখে ঘুমোতে হবে।
৫. শোয়ার ঘরে আয়না রাখার বিষয়টি সাবধানে বিবেচনা করতে হবে। কারণ ভুল জায়গায় রাখা আয়না অশুভ লক্ষণ এবং নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঘরে থাকা আয়না ঢেকে রাখার পরামর্শ দেয় বাস্তুশাস্ত্র।
৬. শোয়ার ঘরের উত্তর দিকের দেওয়ালে রাধা-কৃষ্ণ বা শিব-পার্বতীর ছবি বা যুগল প্রতীকের যে কোনও ছবি রাখা অত্যন্ত শুভ। তবে কোনও অবস্থাতেই যুদ্ধ বা অন্য কোনও নেতিবাচক ছবি রাখবেন না।