বাড়ির কোথায় কী রাখা হচ্ছে, কোন জিনিসটা কী ভাবে রাখা
হচ্ছে প্রভৃতি নানা ব্যাপারের উপর নির্ভর করে বাড়িতে পজ়িটিভ শক্তির পরিমাণ বেশি
হবে না নেগেটিভ। আমরা নিজেদের অজান্তেই এমন নানা কাজ করে ফেলি যার ফলে আমাদের
বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাস্তুতে নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বাড়ির একটি
গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল শৌচাগার। যদিও সেটির উপর বিশেষ নজর প্রায় কোনও মানুষই দেন না।
শৌচাগার কেবল পরিষ্কার রাখলেই হবে না, সেটিকে ঠিক ভাবে গুছিয়েও রাখতে হবে। না হলে
বাস্তুতে নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া অবধারিত। বেশ কিছু জিনিস রয়েছে যা
শৌচাগারে করতে নেই। সেগুলি কী জেনে নিন।
বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়ির শৌচাগারে কোন জিনিসগুলি রাখা যাবে
না?
- আমরা অনেকেই খালি বালতি শৌচাগারে রেখে দিই। প্রয়োজনের সময়
তাতে জল ভরে ব্যবহার করি, তার পর আবার সেটিকে খালিই রেখে দেওয়া হয়। অনেক সময় ভাঙা
বালতিও ব্যবহার করা হয়। এই দু’টির একটি কাজও করা
উচিত নয় বলে জানাচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র। খালি বালতি রেখে দেওয়া বা ভাঙা বালতি
ব্যবহার আমাদের বাস্তুর জন্য অকল্যাণ ডেকে আনে। তাই এই কাজ করা যাবে না।
- শৌচাগারে ভাঙা আয়নাও রাখা যাবে না। অনেক বাড়িতেই হালকা চিড় ধরা আয়নাও রেখে দেওয়া হয়। এতে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে
জীবনে একের পর এক ঝামেলা আসতে থাকে। আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়। তাই বাড়ির
শৌচাগারে অল্প ভাঙা আয়নাও রাখা যাবে না।
- কেউ কেউ জামাকাপড় কাচার পর সেগুলি অনেক ক্ষণ শৌচাগারের
ভিতরেই রেখে দেন। বাস্তুশাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভেজা জামাকাপড় দীর্ঘ ক্ষণ
শৌচাগারে রেখে দেওয়া উচিত নয়। এতে বাস্তুর সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
- শৌচাগারের দরজা কখনও খুলে রাখা যাবে না। এতে বাথরুম থেকে
নেগেটিভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করবে। এতে আমাদেরই ক্ষতি হবে।
- অনেক বাড়িতেই শৌচাগারে পরে যাওয়ার জন্য আলাদা এক জোড়া চটি
ব্যবহার করা হয়। তবে সেই চটি জোড়া শৌচাগারের বাইরে বা ভিতরে রাখা যাবে না। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। চটি যে কাজেই
ব্যবহার করা হোক না কেন, সেটিকে চটি রাখার নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেওয়াই কাম্য।
- এ ছাড়া, নিয়মিত শৌচাগার পরিষ্কার করতে হবে। সেটিকে কোনও মতেই নোংরা রাখা যাবে না। এতে রাহু রুষ্ট হন। দুর্ভাগ্য সর্ব ক্ষণের সঙ্গী হয়ে যায়।