ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
জটিল পরিস্থিতিতে মাথা শান্ত রাখা সহজ ব্যাপার নয়। কিন্তু তা না করতে পারলে ক্ষতি হয় আমাদেরই। শান্ত মাথায় যে কোনও কাজই সুষ্ঠু ভাবে করা যায়। কিন্তু মাথা ঘেঁটে গেলে কাজও ঘেঁটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদিও এটা জানার পরও মানুষ চাপ নেওয়া ছাড়তে পারেন না। জ্যোতিষশাস্ত্র জানাচ্ছে, রাশিচক্রের পাঁচ রাশি রয়েছে যারা মানসিক চাপ নেওয়ার ব্যাপারে অন্যদের ছাপিয়ে যায়। এই রাশির ব্যক্তিরা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ব্যাপারেও নিজেদের এতটাই জড়িয়ে ফেলেন যে শেষে গিয়ে আর ঠাহর করে উঠতে পারেন না কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়। চাপ না নিয়ে এঁরা প্রায় কোনও কাজই করে উঠতে পারেন না।
কোন পাঁচ রাশি বেশি মানসিক চাপ নিয়ে ফেলেন?
মেষ: জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেই মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা দুশ্চিন্তার ঘেরাটোপে নিজেদের আটকে ফেলেন। এঁরা কোনও ব্যাপারে ধৈর্য রাখতে পারেন না। সেই কারণে এঁদের মানসিক অস্থিরতা আরও বৃদ্ধি পায়। ফলত কাজটিও আর ঠিক মতো করে উঠতে পারেন না মেষ রাশির ব্যক্তিরা। চিন্তা করেই সময় কাটিয়ে দেন।
মিথুন: রাশিচক্রের তৃতীয় রাশি মিথুন খামোখা চিন্তা করার ব্যাপারে ওস্তাদ। এই রাশির মানুষেরা যে কোনও ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত ভাবতে ভালবাসেন। আর সেই ভাবনা বেশির ভাগ সময় নেগেটিভ লাইনেই বয়ে চলে। চিন্তা থেকে আসে চাপ, তার পরই এঁরা সব নিয়ে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন। এর প্রভাব তাঁদের শরীরের উপরও পড়তে দেখা যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও মিথুন রাশির ব্যক্তিরা মানসিক চাপ নেওয়া ছাড়েন না।
সিংহ: মনের কথা অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে নারাজ সিংহ রাশির ব্যক্তিরা। অহংবোধের বশে পড়ে এই রাশির ব্যক্তিরা সকল সমস্যা একা সমাধান করার চেষ্টা করেন। যদিও সেটি আর করে উঠতে পারেন না। উল্টে মানসিক চাপের শিকার হন। পরিস্থিতি যত জটিল হতে থাকে, এঁদের চাপ তত বৃদ্ধি পেতে থাকে।
কন্যা: কন্যা রাশির ব্যক্তিরা চেষ্টা করেন মাথা শান্ত রাখতে, কিন্তু শেষে গিয়ে আর সফল হন না। এর নেপথ্যে থাকে এঁদের চিন্তা। যে কোনও ব্যাপার নিয়ে এঁরা প্রয়োজনের থেকে বেশি চিন্তা করে ফেলেন। সেই কারণে এঁদের মধ্যে বাসা বাঁধে মানসিক চাপ। সেটির প্রভাব এঁদের শরীরের উপরও পড়তে দেখা যায়। কিন্তু এত কিছুর পরও এঁরা চিন্তা করা থামাতে পারেন না।
বৃশ্চিক: আবেগতাড়িত বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা অনুভূতির দাস। এই রাশির ব্যক্তিরা কষ্ট মোটে সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু সেই কষ্ট অন্যের সঙ্গে ভাগও করে নেন না, বদলে মনে সব কিছু চেপে রেখে দেন। এর প্রভাব এঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও পড়ে।