Tongue Shape Personality

কেউ ক্ষুরধার, কেউ আবার নরমসরম, রসনার গড়নই বলে দেবে আপনার চরিত্রের গোপন রহস্য!

জিভের গড়ন, রং, আকারই বলে দেয় মানুষটির ভাগ্য কেমন ও তাঁর চরিত্রের অজানা দিক। জিভের বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে তাঁদের জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু অনুমান করা সম্ভব।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:২২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

শারীরিক গঠন দেখে মানুষের ভাগ্য ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা সম্ভব। এমনটাই মত জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্তর্গত সমুদ্রশাস্ত্র নামক শাখাটির। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকৃতি পরীক্ষা করে এক জন ব্যক্তির জীবন এবং প্রকৃতি নির্ধারণ করা যায় বলে জানাচ্ছে সমুদ্রশাস্ত্র। সেই শাস্ত্রমতে কারও জিহ্বার রং, আকার দেখে সহজেই জানা যেতে পারে তিনি কেমন মানুষ।

Advertisement

প্রতিটি মানুষের জিহ্বার আকার, ধরন ও রং স্বতন্ত্র হয়ে থাকে। কারও জিভ ক্ষুরধার, কারও আবার নরম-সরম। রসনার আকারই বলে দেয় মানুষটির ভাগ্য কেমন ও তাঁর চরিত্রের অজানা দিক। জিভের বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে তাঁদের জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু অনুমান করা সম্ভব। আসুন দেখে নেওয়া যাক কার রসনার ধার কতটা।

যাঁদের জিহ্বা নাক স্পর্শ করে তাঁদের সমুদ্রশাস্ত্রে খুব ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়। জিভের গড়ন স্বাভাবিকের চেয়ে লম্বা হলে তাঁরা সর্বদা সৌভাগ্যের দেবীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন। জীবনে সমস্ত সাফল্য করায়ত্ত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের জিভের অধিকারীরা সর্বদা প্রফুল্ল থাকেন এবং জীবনের সমস্ত সুখের চাবিকাঠি হাতের মুঠোয় ধরা থাকে।

Advertisement

যাদের জিভ পাতলা, নরম এবং লাল রঙের হয় তাঁরা খুব জ্ঞানী প্রকৃতির। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী এবং জ্ঞানের ক্ষুধা প্রবল হয় তাঁদের। এঁদের বুদ্ধিমত্তা এবং চতুরতা কর্মক্ষেত্রেও সাফল্য এনে দেয়। এঁরা সাধারণত খুব ধার্মিক এবং ঈশ্বরভক্ত হন।

যাঁদের জিহ্বার অগ্রভাগ তীক্ষ্ণ এবং সামান্য লম্বা তাঁদের খুব ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়। সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে, এঁরা জীবনে খুব কম দুঃখের মুখোমুখি হন। কর্মজীবনে সাফল্যের সিঁড়ি আকাশছোঁয়া হয়। প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। এই কারণে এঁদের আর্থিক সমস্যা খুব কম হয়।

সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে যাঁদের জিভ কালো বা কালো দাগ থাকে তাঁরা কর্মক্ষেত্রে অসুবিধার মুখে পড়েন। একই কাজ দীর্ঘমেয়াদে সম্পন্ন হয়। এমনকি ব্যবসা করতে চাইলে তাতেও সাফল্যের মুখ দেখতে সমস্যা তৈরি হয়। জীবিকা ও কর্মক্ষেত্র নিয়ে অনিশ্চয়তার পরিস্থিতি থেকে যায় তাঁদের জীবনে।

কারও জিভের রং দু’ধরনের হলে তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি কুসঙ্গে মিশতে শুরু করেন। এ ছাড়াও, নিয়মকানুনের বালাই থাকে না এঁদের জীবনে। স্বাস্থ্যের সমস্যায় প্রায়ই ভুগতে হয়। যাদেঁর জিহ্বা মোটা, তাঁদের কথাবার্তা অত্যন্ত রূঢ় হয়। স্পষ্টবক্তা হওয়ার কারণে তাঁদের অনেকেই ভুল বোঝেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement