গর্ভাবস্থায় মা ও সন্তানকে সুস্থ রাখতে কিছু বাস্তু টিপস

মাতৃত্বের ছোঁয়ায় একজন নারীর পূর্ণ বিকাশ ঘটে। প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে, মা হওয়া কি মুখের কথা। মা হওয়ায় সময় গর্ভাবস্থায় যেমন ধকল থাকে, তেমনই রাখতে হয় সাবধানতা। এই সময় মায়ের শরীর ও মন যে অবস্থায় থাকবে, তাঁর সন্তানের ওপর ঠিক সে রকমই প্রভাব পড়ে।

Advertisement

শ্রীমতী অপালা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯ ০০:০০
Share:

মাতৃত্বের ছোঁয়ায় একজন নারীর পূর্ণ বিকাশ ঘটে। প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে, মা হওয়া কি মুখের কথা। মা হওয়ায় সময় গর্ভাবস্থায় যেমন ধকল থাকে, তেমনই রাখতে হয় সাবধানতা। এই সময় মায়ের শরীর ও মন যে অবস্থায় থাকবে, তাঁর সন্তানের ওপর ঠিক সে রকমই প্রভাব পড়ে। তাই এই সময় মায়ের শারীরিক ও মনের অবস্থার খেয়াল রেখে কিছু বাস্তু টিপস দেওয়া হল।

Advertisement

গর্ভাবস্থায় ও তার ঠিক পরবর্তী অধ্যায়ে মা ও সন্তানকে সুস্থ এবং আনন্দে রাখতে বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী গর্ভবতী মায়ের ঘর সাজান।

দেখে নয়া যাক গর্ভবতী মায়ের ঘর ঠিক কী রকম হওয়া উচিত:

Advertisement

• যে দম্পতি সন্তান চাইছেন, বাস্তু মতে সেই দম্পতির ঘরের মুখ উত্তর ও পশ্চিমমুখী হওয়াই শ্রেয়। অন্তত তত দিন পর্যন্ত, যত দিন গর্ভধারণ না হচ্ছে।

আরও পড়ুন: খুচরো দোকানদারদের আয় বাড়ানোর টিপস

• খুব নিরাপদে মা হওয়া যাবে যদি গর্ভাবস্থায় গর্ভধারিণী মায়ের দক্ষিণ ও পশ্চিমমুখী ঘরে শোবার ব্যবস্থা থাকে। একান্ত যদি না হয়, তা হলে উত্তর বা পূর্বমুখী ঘরেও শোবার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বিশেষ করে ভরা মাসগুলিতে অন্তঃসত্ত্বাকে উত্তর বা পশ্চিমমুখী ঘরে শোবার ব্যবস্থা না করাই উপযুক্ত।

• বাস্তুশাস্ত্র মতে শুধু ঘর নয়, শোবার ব্যবস্থাও করতে হবে নির্দিষ্ট দিক মেনে। এই সময় গর্ভবতী মা-কে সব সময় দক্ষিণ দিকে মাথা করে শোবার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এই সময়ের জন্য দক্ষিণ দিকে মাথা করে শোবার ব্যবস্থা শুভ।

• এই সময় ঘরের ব্রহ্মস্থান অর্থাৎ ঘরের মাঝখান ফাঁকা রাখতে হবে। আসবাবপত্র সব ঘরের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে হবে।

• গর্ভবতী মাকে এই অবস্থায় প্রায় সময়েই ইতিবাচক বই পড়ার মধ্যে সময় কাটাতে হবে। এটি সন্তানের ক্ষেত্রে খুব শুভ প্রমাণিত হয়।

• যে ঘরে গর্ভবতী মা থাকবেন, তার দেওয়ালে বাচ্চার ছবি লাগাতে ভুলবেন না। এই ধরনের ছবি মা ও বাচ্চা দু’জনেরই মনকে সতেজ রাখে এবং পজেটিভ এনার্জিতে ভরিয়ে রাখে।

• এই সময় ঘর ও পোশাকের রং হালকা রাখাই ভাল। হালকা রং অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে। গাঢ় রং অনেক সময় মনকে অবসাদগ্রস্থ করে তোলে, যা মা ও সন্তান দু’জনের পক্ষেই ক্ষতিকর। ঘরের রং হবে হালকা নীল, সাদা, হালকা গোলাপী ইত্যাদি।

• নীল রং শরীরের পক্ষে আরামদায়ক। তাই ঘর, পোশাক সব কিছুই নীল রাখতে চেষ্টা করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন