দেবস্নানা পূর্ণিমা কী? এই দিন জগন্নাথদেবের দর্শন কেন শুভ

হিন্দু শাস্ত্রে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমাকে দেবস্নানা পূর্ণিমা বলা হয়। স্কন্দপুরাণ অনুসারে, রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য কাঠ দিয়ে তৈরি দেবমূর্তি স্থাপন করেন। স্নানযাত্রার প্রবর্তক রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য।

Advertisement

সুপ্রিয় মিত্র

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০০:০৫
Share:

হিন্দু শাস্ত্রে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমাকে দেবস্নানা পূর্ণিমা বলা হয়। স্কন্দপুরাণ অনুসারে, রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য কাঠ দিয়ে তৈরি দেবমূর্তি স্থাপন করেন। স্নানযাত্রার প্রবর্তক রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। দেবস্নানা পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথদেবের স্নানকে কেন্দ্র করে উৎসব পালন করা হয়, যা স্নানযাত্রা নামে অভিহিত। এই শুভ তিথিকে প্রভু জগন্নাথ দেবের জন্মতিথি মনে করা হয়। দেবস্নানা পূর্ণিমার পূর্ণ তিথি এবং স্নানযাত্রা উৎসব প্রভু জগন্নাথের ভক্তদের একটি গুরুত্বপূর্ণ শুভ তিথি এবং শুভ উৎসব।

Advertisement

স্নানযাত্রার আগের সন্ধ্যায় শোভাযাত্রা সহকারে প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা, সুদর্শন এবং মদনমোহনের বিগ্রহ গর্ভগৃহ থেকে স্নান বেদীতে নিয়ে আসা হয়। পরের দিন (স্নানযাত্রার দিন) ১০৮ কলসি জল দ্বারা প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা, সুদর্শন এবং মদনমোহনকে মন্ত্র সহযোগে স্নান (জল অভিষেক) করানো হয়। দেবতাদের উদ্দেশে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন: অশুভ গ্রহের কুফল নষ্ট করতে পারে বৃহস্পতির শুভ প্রভাব

Advertisement

স্নান পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর গজবেশে সাজানো হয়। স্নানযাত্রার পরবর্তী সন্ধায় প্রভু জগন্নাথ অনাসর গৃহে যাত্রা করেন। কথিত আছে, এই সময় ১৫ দিন প্রভু অসুস্থ হয়ে (জ্বরে আক্রান্ত হয়ে) লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকেন যা অবসর বা অনাসর কাল নামে পরিচিত।

কথিত আছে এই তিথিতে প্রভু জগন্নাথদেবকে দর্শন করলে বর্তমান এবং পূর্ব জন্মের সব পাপ নাশ হয়। আগামি ৫ জুন, ২২ জ্যৈষ্ঠ, শুক্রবার দেবস্নানা পূর্ণিমা, শুভস্নানযাত্রা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন