গঙ্গাসাগর মেলা ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তিতে বহু ভক্তপ্রাণ মানুষ, সাধু, সন্ন্যাসী এমনকী নাস্তিকও আসেন এই মেলায়। বর্তমান বর্ষে পৌষ সংক্রান্তি ৩০ পৌষ, মঙ্গলবার, ইং ১৫ জানুয়ারি ২০১৯।দিবা ঘ ১১/৪৭ মিনিট মধ্যে সংক্রান্তিকৃত্য ও স্নানদানাদি। পশ্চিমবঙ্গের মোহনা যেখানে গঙ্গা ও সমুদ্র মিশেছে, তার তীরে, মহর্ষি কপিল মুনির মন্দিরকে কেন্দ্র করে। এই স্থানটি হিন্দুদের কাছে অতি পবিত্র তীর্থস্থান। গঙ্গাসাগরে এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করে স্নান করুন-
মন্ত্র- ‘ত্বং দেব সবিতাং নাথ ত্ব দেবী সরিতাম্বরে,
উভয়ো সঙ্গমে স্নাত্বা মুঞ্চামি দুরিতানি বৈ’।
এরপর স্নান শেষ হলে কিছু না কিছু দান করুন। গঙ্গাসাগর মহাতীর্থ। এর মাহাত্ম্য অপরিসীম। অনির্বচনীয়, অপরিমেয়। সর্বোপরি সমস্ত সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে বলতে হয়, গঙ্গাসাগর মেলা বা তীর্থ এক ভারতের সংবাদ বহনকারি একটি মহানতীর্থ, এতে সন্দেহ নেই।
এখন দেখে নেওয়া যাক এই মহানতীর্থে স্নানের পর (এছাড়াও পবিত্র নদীতে স্নান করেও) রাশি অনুসারে কার কী দান করা উচিত—
আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তি বা পৌষ সংক্রান্তির দিন মহিলারা কী করবেন না
১। মেষ রাশি- তিল, আয়না।
২। বৃষ রাশি- শাক-সবজি।
৩। মিথুন রাশি- তিলের নাডু, কম্বল।
৪। কর্কট রাশি- মধু, সাবু দানা।
৫। সিংহ রাশি- ছোলার ডাল, ঘি।
৬। কন্যা রাশি- চাদর।
৭। তুলা রাশি- চাল।
৮। বৃশ্চিক রাশি- দুধ, দই।
৯। ধনু রাশি- হলুদ, গরুকে খাবার খাওয়ান।
১০। মকর রাশি- সর্ষের তেল, কলাইয়ের ডাল।
১১। কুম্ভ রাশি- কালো তিল এবং তেল।
১২। মীন রাশি- কম্বল, গুড় এবং গম।