বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক অশান্তি হতে পারে। প্রশ্ন হল, মানসিক অশান্তির শিকার কারা হতে পারে?
১। যদি শিরোরেখা ও হৃদয়রেখা সমান্তরাল হয়, তা হলে জাতক বন্ধুত্ব ও শত্রুতা আজীবন স্বীকার করে বা মনে মনে পোষণ করে থাকে। শৃঙ্খলযুক্ত বা ভগ্ন শিরোরেখা বোঝায় যে তার মাথায় কোনও চিন্তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। জাতকের মাথার গোলমাল হয়ে থাকে, এমনকি পাগল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। যে বয়সে ওই রেখা ভঙ্গ হয়, সেই বয়স থেকেই মানসিক রোগী হয়ে যেতে পারে। এটা একটা মানসিক অশান্তির কারণ।
২। শিরোরেখাতে চতুস্কোণ চিহ্ন থাকলে তা শুভ। ওই সময়ে জাতক সব বাধা-বিপত্তি থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারে। আবার এক বা একাধিক রেখা শিরোরেখাকে কেটে চলে যাওয়া অশুভ লক্ষণ। ওই বয়সে নানা মানসিক চাঞ্চল্য ও তার ফলে আঘাত, শোক, অসুস্থতা, অর্থ ক্ষতি ইত্যাদি মানসিক অশান্তির কারণ হতে পারে।
৩। হৃদয়রেখা যদি শেষ প্রান্তে দুই ভাগে ভাগ হয় এবং একটি বৃহস্পতির স্থানে এবং অন্যটি বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে যায়, তা হলে তার জীবন শান্তিপূর্ণ হয়। উদার, চিন্তাশীল ও মানসিক উচ্চভাব থাকে।
৪। যদি একটি রেখা বৃহস্পতির ও অন্যটি শনির দিকে যায়, তা হলে জাতক হয় স্নেহপ্রবণ এবং স্নেহ-মায়া-মমতার বিষয়ে সে সুখী হয়। স্নেহ ও প্রেমের ব্যাপারে সে মাঝে মাঝে আঘাত পায়, সেটি মানসিক অশান্তির কারণ।