(৪) বৃষ রাশি: এফবিআইয়ের তালিকায় অপরাধ করার দিক থেকে বৃষ চার নম্বরে। আবার অন্য এক গবেষণায় এরা রয়েছে দু’নম্বরে। এরা জন্ম থেকে গোঁয়ার প্রকৃতির। এদের ঘাড়-গর্দান প্রায় মিলে থাকে। বৃষ রাশিচক্রে দ্বিতীয় ঘর। দ্বিতীয় ঘর জ্যোতিষ নিয়মে অর্থের ঘর। তাই এদের কাছে সব থেকে প্রিয় অর্থ। বারোটি রাশির মধ্যে এরা ছাড়া আর কোনও রাশি অর্থকে এতটা ভালবাসে না। যার ফলে বৃষের জাতিক/জাতিকারা যত রকমের অপরাধ করে তার নব্বই ভাগ অর্থকে নিয়ে হয়। এরা অর্থের জন্য খুনও করে থাকে। এফবিআই তালিকায় এই রাশিতে সিরিয়াল কিলাররাও আছে।
(৫) মেষ রাশি: এরা প্রকৃতিগত ভাবে উদ্ধত ও ডমিনেটিং মানসিকতার হয়ে থাকে। এদের মধ্যে জন্মগত নেতৃত্বদানের ক্ষমতা থাকে। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অপরাধীদের দলের নেতা হয়ে থাকে। এরা অন্যের পয়সার বিনিময়ে অপরাধ করে থাকে। এফবিআইয়ের তালিকায় এরা অপরাধের দিক থেকে পাঁচ নম্বরে।
(৬) মকর রাশি: মকর ক্রাইমের দিক থেকে এফবিআইয়ের চোখে মাঝামাঝি অবস্থানে। বলা হয়ে থাকে, বারোটা রাশির মধ্যে সব থেকে সংযত চরিত্রের রাশি মকর। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, এরাও অপরাধ করে। এরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংগঠিত অপরাধ করে থাকে।
তবে সাধারণত এরা খুনের মতো অপরাধে জড়িত থাকে না। এদের একটা বদনাম আছে স্যাডিস্ট মার্ডারার হিসেবে। র্যাঙ্কের দিক থেকে স্যাডিস্ট মার্ডারার হিসেবে বৃশ্চিকের পরই এদের স্থান, অন্তত এফবিআইয়ের তালিকানুযায়ী। এরা অপরাধ করলে সে ভাবে গুছিয়ে করতে পারে না, অপরাধের ছাপ রেখে যায়। তাই সহজেই ধরা পড়ে যায়।
(৭) মীন রাশি: পাশ্চাত্য জ্যোতিষ মতে মীন হচ্ছে সব চেয়ে স্পর্শকাতর, সহানুভূতি সম্পন্ন এবং ভীষণ ভাবাবেগ সম্পন্ন রাশি। এদের আছে প্রচুর বন্ধুবান্ধব। বিশেষ ভাবে এরা সামাজিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলে। এত সব গুণ থাকা সত্বেও এরাও অপরাধ করে।
জ্যোতিষ মতে মীন দ্বৈত চিহ্নের রাশি। ফলে এদের ভিতর ডাবল পার্সোনালিটি বিরাজ করে। পরস্পর বিরোধী দু’টি ভাব এদের মধ্যে দেখা যায়।
তবে এফবিআইয়ের মতে, এরা বেশির ভাগ সময় পাচারের মতো অপরাধ করে থাকে। এদের অনেকের জীবন শেষ হয় মাকাসক্ত হয়ে। মীনের মতো মাদকাসক্ত আর কোনও রাশি হয় না।