—প্রতীকী ছবি।
ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য কী সাজিয়ে রেখেছে তা সকলেরই জানতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সেটি একদম সঠিক ভাবে কেউই বলতে পারেন না। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র কিছুটা হলেও সেই ব্যাপারে আমাদের একটা ধারণা দিতে পারে। আমাদের জন্মছক বিচার করে ভবিষ্যতের ব্যাপারে নানা জিনিস বলে দেওয়া যায়। খারাপ, ভাল সব কিছুর ব্যাপারেই জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে একটা ধারণা পাওয়া যায়। শাস্ত্র বলছে, কয়েকটি বিশেষ যোগ রয়েছে সেগুলি যে সকল মেয়েদের জন্মছকে থাকে, তাঁদের স্বামীরা ধনবান হন। অর্থাৎ, সেই সকল মেয়ের বিয়ে হয় কোটিপতি বাড়ির ছেলেদের সঙ্গে।
কী কী যোগ থাকতে হয়?
রাজ্য-পূজিত রাজযোগ: বৃহস্পতি, শুক্র, বুধ বা চন্দ্রের মতো শুভ গ্রহ মেয়েদের জন্মছকের সপ্তম ঘরে থাকলে রাজ্য-পূজিত রাজযোগ গঠিত হয়। এই রাজযোগের প্রভাবে বিয়ের পর রানির মতো জীবন কাটানো সম্ভব হয়। এই সকল মেয়ে বিয়ের পর স্বামীর থেকে সুখ, সম্পদ ও প্রতিপত্তি লাভ করেন। এঁদের স্বামীরা প্রতিপত্তিশালী হন। বিয়ের পর এই মেয়েদের ভাগ্য খুলে যায়। সমাজে উচ্চপদ লাভ করেন।
চন্দ্র-মঙ্গল যোগ: যে সকল মেয়ের জন্মছকের সপ্তম ঘরে চন্দ্র-মঙ্গল যোগ থাকে তাঁরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবতী হন। বিয়ের পর স্বামীর থেকে এঁরা সব রকম সুখ পান। কখনও অর্থকষ্ট আসে না। এঁদের জীবনসঙ্গী উত্তরোত্তর উন্নতি করেন। এই মহিলারা নিজে কোনও ব্যবসার সঙ্গে জড়ালে দারুণ সাফল্য লাভ করেন।
মালব্য যোগ: তুলা, বৃষ ও মীন রাশিতে সপ্তম ঘরে শুক্র অবস্থান করলে গঠিত হয় মালব্য রাজযোগ। এই সকল মেয়ের দাম্পত্য জীবন দারুণ সুখের হয়। এঁরা বিলাসিতায় জীবন কাটাতে ভালবাসেন। এঁদের স্বামীভাগ্য খুব ভাল হয়। স্বামীর কাছে যা চান, তা-ই পান। জীবনে কোনও কিছুর অভাব থাকে না।
শশ রাজযোগ: জন্মছকের সপ্তম ঘরে শনি থাকলে শশ রাজযোগ গঠিত হয়। শনির নাম শুনে ভয় পেলেও আদতে লাভই হয়। যে মেয়ের জন্মছকে এই রাজযোগ থাকে, তাঁদের জীবনে কখনও ধনসম্পদের অভাব হয় না। এঁদের স্বামীরা রাজসম্পদের মালিক হন।