Maoist Surrender

‘সবচেয়ে দক্ষ’ মাওবাদী ব্যাটালিয়ন এ বার আত্মসমর্পণের পথে! ২০ জঙ্গির মাথার মোট দাম ৩৩ লক্ষ

সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চহ্বাণ বুধবার জানিয়েছেন, যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন তারা রাজ্য সরকারের ‘নিয়াদ নেল্লানার’ (তোমার ভালো গ্রাম) প্রকল্পে পুনর্বাসন এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:১৮
Share:

সুকমা জেলার আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা। ছবি: এক্স থেকে।

ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফের আত্মসমর্পণ মাওবাদী জঙ্গিদের। এ বার সুকমা জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ন’জন মহিলা-সহ আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীর সংখ্যা ২০। এর মধ্যে ১১ জনের মাথার মোট দাম ৩৩ লক্ষ টাকা।

Advertisement

সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চহ্বাণ জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সবচেয়ে দক্ষ বাহিনী হিসেবে খ্যাত ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের গেরিলারা। গত মে মাসে ছত্তীসগঢ়-তেলঙ্গানা সীমানার কারেগুট্টা পাহাড়ে এই ব্যাটালিয়নের সঙ্গেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং দুই রাজ্যের পুলিশের যৌথবাহিনীর।

আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে পিএলজিএ-র ১ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্য শর্মিলা ওরফে উইকা ভীমে এবং পশ্চিম বস্তার ডিভিশনের সদস্য তাতি কোসি ওরফে পারমিলার মাথার দাম আট লক্ষ টাকা করে। আর এক পিএলজিএ কমান্ডার মুচাকি হিদমার পাঁচ লক্ষ। কিরণ বুধবার বলেন, ‘‘যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন তারা রাজ্য সরকারের ‘নিয়াদ নেল্লানার’ (তোমার ভাল গ্রাম) প্রকল্পে পুনর্বাসন এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।’’ প্রসঙ্গত, নেতা-কর্মীদের মূল স্রোতে ফেরাতে ২০২৪ সালে ছত্তীসগঢ় পুলিশ ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছিল। তার আগে ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতিশ্রুতি মেনে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে রাজ্যকে মাওবাদী মুক্তি করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘নিয়াদ নেল্লানার’ কর্মসূচি শুরু করেছে ছত্তীসগঢ়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement